Friday, August 17, 2018

সাউকলজিক্যাল টিপস -৪৮ঃঅন্তর ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে? কি করবেন ঃ

পর্ব-১ঃ
জীবন এমনই যে কখনো কখনো তা আমাদের সহ্য সীমার বাইরে ঠেলে দেয়। কিছু সময় এরকম ধাক্কা এতো প্রবল হতে পারে যে আমরা হতাশ, আশাভঙ্গের কালো গহ্বরে নিপতিত হতে পারি।

ভেতরটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে তার মানে এ নয় যে আপনি জীবনের পুরো হাল ছেড়ে দেবেন।

আপনাকে একটু পিছিয়ে আসতে হবে ও ঐ ভয়ংকর অনুভুতি গুলোকে বের হয়ে আসতে দিতে হবে।

বরং এরকম জীবন অভিজ্ঞতা আমাদেরকে আরো বলশালী করে যাতে জীবন চ্যালেঞ্জকে আরো সক্ষম ভাবে মোকাবেলা করতে পারি।

এরকম ভেঙে পড়া অবস্হায় যা করবেন ঃ

১। মনে রাখবেন "ফাটল " আলো ঢোকার স্হান /সুযোগ করে দেয়ঃ

যদি মাঝে মাঝে ভেঙে না পড়েন( জীবনে ফাটল না দেখা দেয়)  আপনার অন্তর আত্মায় "আলো" প্রবেশের স্হান থাকে না।হ্রদয় বিদারক,মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রে  জীবন জগতের শুভ, মঙ্গলজনক দিকটি উন্মোচিত করে।

সব সময় ভাল আছি, থাকবো এমন নিস্তরঙ্গ জীবনে " বেড়ে উঠার" সুযোগ তেমন থাকে না,তেমনি জীবন যুদ্ধে ঘুরে দাড়াবার শক্তি ও অর্জিত হয় না।

জীবন যাত্রা সহজ হবে এই নিশ্চয়তা আমরা প্রত্যাশা করতে পারি না।
যদি তেমনটি হয় আপনি " জীবন বদলে " দেওয়া অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হবেন।

এরকম অভিজ্ঞতা যা আপনাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে, তা আপনাকে আরো সবল,অভিজ্ঞ মানুষে রূপান্তর করবে।

যখনি হতোদ্যম হয়ে পড়বেন,বিধ্বস্ত মনে হবে, তখনই মনে রাখবেন, আপনার অনেক সুপ্ত সম্ভাবনা, সক্ষমতা ও সামর্থ্য প্রকাশ লাভ করার সুযোগ ঘটবে।

২। আপনার আবেগ, অনুভুতিকে " মেনে নিন",সম্মান করুন ; এসবের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন নাঃ

মন ভারাক্রান্ত হয়ে আছে বা মন বিষিয়ে উঠছে -- এ জন্য আশাহত হবেন না।

যদি আপনি এমন অনুভব না করতেন আপনি "সম্পূর্ণ মানব" হয়ে উঠতে পারতেন না।

কিছু কিছু ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হওয়াই স্বাভাবিক।

কখনও কখনও সেটি হতে পারে আর্ত চিৎকার,বুক ফেটে কান্না, হাটু ভেঙে ভূতলে গড়াগড়ি।

আপনাকে, আমাকে এসব তীব্র আবেগীয় " ঢেউকে" মেনে নিতে হবে।এসব তীব্র আবেগ ভেতর " চেপে " রাখলে এর প্রবল বিরুপ  প্রতিক্রিয়া হবে।

তাই অন্যদের ভয়ে বা লজ্জায় নিজের আবেগ অনুভূতি লুকিয়ে রাখবেন না।

নিজের অনুভুতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকলে এক সময় মনে হবে  পুরো পৃথিবীর " বোঝা " কাধে নিয়ে হাটছেন।

মনের গভীরে যেখানে এসব আবেগ গুলো বাসা বেধেছে সেখান দিয়ে  " বীরের " মতন হেটে যেতে হবে( এড়িয়ে নয়)।
এর ফলে এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন, এসবকে ইতিবাচক, গঠনমূলক ভাবে কাজে লাগাতে পারবেন
( পর্ব -২ঃ আগামী কাল)

No comments:

Post a Comment