Friday, March 31, 2017

সাইকোলজিক্যাল টিপস-২৮

পর্ব-২:আবেগগত বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য (Emotional intelligence) :

আবেগগত বুদ্ধি গড়ে উঠার পিছনে পরিবেশ ও  " শৈশবে বেড়ে উঠার" ধরন(upbringing)ভূমিকা রেখে থাকে।।অনেক ভালো পরিবেশে মানুষ হওয়া ছেলে- মেয়েদের মধ্যে ও আত্মকেন্দ্রিকতা ও আত্মপ্রমের আধিক্য দেখা যায়।আবার  পরিবারে অবহেলা,নির্যাতন বা দারিদ্রতা সত্বে ও দেখা গেছে তাদের অনেকের মধ্যে উচ্চতর আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। এর কারন হতে পারে তাদেরকে  তাদের সেন্স গুলোকে তীক্ষ্ণ করে তুলতে হয়, যাতে তারা কঠিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে।সময়ের সাথে সাথে তারা এই গুনাবলীকে আরো  পরিশীলিত করে নেয়।

অন্যদিকে বিচ্যুত আচরন- স্বভাবের ছেলে মেয়েদের মধ্যে আবেগগত বুদ্ধি থাকে না বললে চলে।ফলে তারা সঙ্গীদের সঙ্গে বা বাসায় খাপ খাইয়ে চলতে পারে না; জীবনে ভারসাম্য পূর্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করতে পারে না; স্কুলে প্রত্যাশিত ফলাফল করতে পারে না; নিজকে শান্ত রাখতে বা করতে পারে না; সমস্যা সমাধানের কৌশল আয়ত্ব করতে পারে না।

আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য :
১। আত্ম সচেতন থাকা: নিজের আবেগকে জানা; কি আবেগে আক্রান্ত তা স্বীকার করে নেওয়া; ও বিভিন্ন আবেগের পার্থক্য বুঝতে পারা

২। ম্যূড ম্যানেজমেন্ট :  বর্তমান সিচুয়েশন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য  অনুভূতিগুলোকে হ্যান্ডেল করতে জানা এবং যথাযথ ভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারা

৩। সমমর্মী হওয়া(Empathy): সহানুভূতি (sympathy)  ও সমমর্মী( এমপ্যাথী) এক বিষয় নয়।এটি হচ্ছে অন্যের অবস্হান থেকে তার আবেগ অনুভূতিকে বোঝা এবং তাদের সে প্রকাশ্যে বলা(verbal)   ও না বলা ( নন ভারবাল) আবেগগুলোর সঙ্গে নিজের আচরনকে সামন্জস্যশীল করে নেওয়া।

৪। সম্পর্কগুলো ম্যানেজ করতে পারা: আন্তব্যক্তিক ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়াকে  সঠিকভাবে  হ্যান্ডেল করা; দ্বন্দ্ব নিরসন করা; ও নিগোশিয়েসন করতে পারা

৫। সেলফ- মটিভেশন:
আত্মসংশয়,নিষ্ক্রিয়তা,আবেগের বশবর্তী থাকা সত্ব্যেও নিজের ভাবাবেগগুলোকে একত্র করে , একটি উদ্দেশ্যমূলক লক্ষ্যে পৌছার জন্য নিজকে সঠিকভাবে চালিত করতে পারা।
(৩য় ও শেষ পর্ব- আগামী কাল)

Wednesday, March 29, 2017

সাইকোলজিক্যাল টিপস-২৮: আবেগগত বুদ্ধি (Emotional Intelligence) কেন বেশী গুরুত্বপূর্ণ

পর্ব-১:
আপনি পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে অনেকদিন পর পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন।স্মৃতিকাতর হয়ে নিজের একটি আবেগঘন ঘটনা সংক্ষেপে তাদের কাছে শেয়ার করলেন।কিন্তু বেশীরভাগই আবেগহীন নিরুত্তাপ রইলেন।আপনি তাদের কাছে কোন সহানুভূতি কিংবা সহায়তা কামনা করেননি।তবে মমতা,দয়া,ভালোবাসা মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চয় আশা করেছিলেন।একজনকে তো দেখলেন হৃদয়- মস্তিস্কের যোগাযোগ হীন(heart- brain connectionless)। অথচ অন্য বৈষয়িক ব্যাপারে তারা সোৎসাহে গল্পগুজব করছে" আমি ওমুক করেছি,ও সেটা করেছে"- ইত্যাদি। এখানে কিসের ঘাটতি ছিল? আবেগগত বুদ্ধি মত্তা(ই আই)।

আবেগগত বুদ্ধিমত্বা হচ্ছে- নিজের ও অন্যের আবেগ বোঝার ক্ষমতা,বিভিন্ন অনুভূতির মধ্যে পার্থক্য করতে পারা,সঠিকভাবে সেগুলো লেবেল করতে পারা এবং এ সব আবেগগত তথ্য ব্যবহার করে নিজের চিন্তা ও আচরনকে গাইড করতে পারা।

ধরুন আপনারা মিটিং করছেন।একজন সহকর্মী পথে ৩ ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে আটক থাকার কারনে বিলম্বে সভায় হাজির হলেন।তাকে ঘর্মাক্ত, ক্লান্ত,উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। যার আবেগগত বুদ্ধি বেশী তিনি সহাস্যে এগিয়ে এসে উষ্ম অভ্যর্থনা জানাবেন,কেমন আছে তা জানতে চাইবেন,হয়তো ঠান্ডা পানির গ্লাস এগিয়ে দেবেন এমনকি হয়তো ৫ মিনিটের জন্য সভা স্হগিত করবেন তাকে ধাতস্ত হওয়ার সময় দেওয়ার জন্য। আর যাদের আবেগগত বুদ্ধি কম( তবে এদের বৈষয়িক,সামাজিক বুদ্ধি অতিরিক্ত থাকে) তারা তাকে নিয়ে উপহাস করবে,নিজেদের মধ্যে মিটিমিটি হাসবে,তাকে অকাজের,দায়িত্বহীন বলে প্রচার করবে।এক কথায় ঐ লোকের মনে বিষ ঢুকিয়ে দেবে,তাকে ছোট,হেয়,হীনমন্য করে বিকৃত আনন্দ অনুভব করবে
( পর্ব-২: আগামীকাল)

Saturday, March 25, 2017

রোগ কাহিনী-১৫

" আবার এসেছি ফিরে এ  বাংলার... "

বি পজিটিভ বি হ্যাপী" গ্রুপ এর পক্ষ থেকে সবাইকে

মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
................................
  প্রেম যখন পাগলামী

যানজট,সেশন জটের মতন আমার লেগেছে " লেখা জট"

( এমনিতেই সপ্তাহে ১ টির বেশী পোস্ট দেওয়া যায় না,তদুপরি বিদেশ ভ্রমন হেতু আরো জট লেগে গেলো)

নতুন স্ট্রেটেজি নিচ্ছি- সপ্তাহে ১ টি বড় পোস্টের চেয়ে,    সপ্তাহে ২-৩ টি ছোট পোস্ট দেবো( আপনাদের মতামত চাচ্ছি)

.................................
#রোগকাহিনী-১৫: মিশর- চীন ভ্রমন শেষে প্রথম দিনের চেম্বারে প্রথম রোগীনীর কাহিনী এটি।

প্রেম যখন পাগলামী

মিসেস রুবি,বয়স যখন ১৩ তখন ৩৫ বছর বয়সী একজনের সঙ্গে মা বিয়ে দেন।

বর্তমানে বয়স ৩৫ ও দুই ছেলের মা।বিবাহের বয়স ২২ বছর।

বাবা মারা গেছেন।বড় বোনের জন্য  ঐ লোকের আগ্রহী ছিল, কিন্তু বড় বোনের অন্যত্র সম্পর্ক থাকাতে বড় বোন সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

মা তখন তার সঙ্গে বিয়ে দেয়।তিনি খুব একটা প্রতিবাদ করতে পারেননি।

তার ভাষায় আমি বুঝতামই না বিয়ে কি জিনিস।

বিয়ের ৪ দিন পর শারিরীক সম্পর্ক হয় কিন্তু আমার কোন ফিলিংস ছিল না।

ওনার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল এক এমপির  মেয়ের সঙ্গে।কিন্তু সে মেয়ে ছিল " পাগল"।

তাই পরে ডিভোর্স হয়ে যায়।
বিয়ের ১৫ দিন পর উনি ব্র্নাই চলে যান।২ বছর পর ফিরে আসেন।

দেশে চাকরী নেন।আমি ও মেয়েদের জন্য একটি জিম খুলি।আমিই মূল ইনস্ট্রাক্টর। মাসে লাখ টাকার মতন আমার ইনকাম।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার মানসিক, শারিরীক চাহিদা বাড়ে।

কিন্তু তিনি সে চাহিদা পূরন করতে পারেন না,সে নিয়ে তার কোন ভ্রুক্ষেপ ও নেই।

আমার পছন্দগুলো( কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা খেতে যাওয়া)  কোন গুরুত্ব দিতো না।

ধীরে ধীরে উনি কাছে আসলে বিরক্ত লাগতো।যেহেতু বিছানায় আমাকে তৃপ্ত করার তার কোন আগ্রহ ছিল না,ডাক্তার দেখাতে বললে তা এড়িয়ে যেতো,তাতে আমি হতাশ ও ক্লান্ত হয়ে পড়ি।

বলি তার চেয়ে তুমি দূরে থাকো।

এভাবে দুজন আলাদা রুমে ঘুমাতাম।ক্রমশ আমাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।

তাকে একদম সহ্য করতে পারতাম না।

নেটের যুগ আছে।ফেইসবুকে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।চ্যাট হয়,আলাপ হয়।

ছেলেটি দোহার থাকে।পরে ঘন্টার পর ঘন্টা টেলিফোনে কথা হতো।

সম্পর্ক গভীর হয়।
সে আমাকে বিয়ে করবে বলে।আমি না করি।

সে বলে তোমার সন্তান থাকুক,তুমি মোটা হও তাতে কিছু যায় আসে না,আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।

আমি ভয় পেতাম এটি সম্ভব না।

ক্রমে সবাই বুঝে ফেলে।মা- বোন- স্বামী- সন্তান সবাই টের পেয়ে যায়।

আমার দুই ছেলে।সবাই  বিভিন্ন ভাবে বাধা দেয়।কিন্তু আমি বাধা মানি না।

কয়েকবার ফোন ও নিয়ে নেয়। কাজ হয় না।

গতমাসে ঐ ছেলে দেশে আসে।আমার সঙ্গে দেখা করতে বাড়ীতে আসে।

কিন্তু ঘর ভরতি লোক, কিভাবে বের হবো।

তাকে মানা করি।আমি উপর থেকে তাকে দেখি,কিন্তু ও দেখতে পায় না।

সে কাকুতিমিনতি করে ১ সেকেন্ডের জন্য দেখা করো।আমি যাই না।

এতে ও খুব কষ্ট  পায় ও কাদতে কাদতে চলে যায়।

যেতে যেতে বলে( ফোনে) তুমি আমাকে অপমান করলে, আমি আর কখনো তোমার কাছে আসবো না।

পরে তাকে ফোন করি, সে বলে ফোন করার দরকার নেই।

সে দারোয়ানের কাছে আমার জন্য  একটি  গিফট এর  লাগেজ রেখে যায়।

সেখানে দুটি স্বর্নের আঙটি,কানের দুল,বোরখা,চকোলেট, চা,ছুরি,খেজুর ছিল।

এগুলো দেখে বাসার লোক আরো ক্ষেপে যায়।ভাবে এই লোক তো যেভাবেই হোক আমাদের মেয়েকে নিয়ে যাবে।

৩ দিন পর ফেইসবুকে দেখি  ১ টি মেয়ে গলায় ফাসি দিয়ে মারা যায়।তখন হঠাৎ মনে হলো আমার ও কি এ দশা হবে?

আমি চিৎকার করে ঐ ছেলেের নাম ধরে ডাকি,

রুম থেকে বের হয়ে পাগলের মতন তাকে খুজি,

বলি তুমি ফোন ধরো( যদিও তখন আমার কাছে ফোন নেই)।

তখন ছেলে ফোন দেয়। আমি ফোন করি, তার ছোট ভাই বলে ভাইয়া গোসল করছে পরে ফোন দেবে।সে ফোন করে।

আমি পাগলের মতন তাকে আসতে বলি,নিয়ে যেতে বলি।

সে  বলে শান্ত হও,এমন করলে লোকে কি বলবে,আমি ১ সপ্তাহ পর আসছি।

এদিকে আমার অবস্হা খুব খারাপ।

দম বন্ধ হয়ে আসতো,

চিৎকার করতাম তুমি কোথায়?
খাওয়া দাওয়া বন্ধ,ঘুম নাই।

কাপড় চোপর খুলে বাইরে চলে যেতে চাইতাম,

ঘরের ভিতর দৌড়াদৌড়ি করতাম,

কান্নাকাটি করতাম।

বড় ছেলে বলে মা  ওনার জন্য তোমার এতো মায়া আমাদের জন্য মায়া লাগে না?

আমার তখন ব্রেইন কাজ করতো না।

তাদের বলি বাবা আমি ওনাকে বিয়ে করবো তোমরা বাধা দিওনা।

স্বামীকে বলি তোমাকে ছেড়ে দেবো ওকে বিয়ে করবো।

স্বামী বলে ঠিক আছে তাকে আসতে বলো,এমনিতে তোমাকে কোথায় ছাড়বো।

তবু জিদ করি তালাক দাও।স্বামী বাধ্য হয়ে বলে ঠিক আছে কাজী অফিস এসো।

কিন্তু  ঐ ছেলে ফোন ধরে না,কোন ভরসায় তালাক নেবো।

৭ দিন পর ঐ ছেলে আসে।তার সঙ্গে রিক্সায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরি।

কয়েকদিন এ ভাবে তার সঙ্গে ঘুরি।

যখন তার সঙ্গে থাকি তখন সব ঠিক।

তাকে না দেখলে বা কথা বলতে না পারলেই অস্হির হতাম,পাগলামো করতাম।

এটি বাসার সবাই বুঝতে পেরে তার সঙ্গে ঘুরতে ও কথা বলতে দিতো।

কয়েকদিন পর সে বরিশাল চলে যায়।

এখন আর ফোন ধরে না।বলে ফ্যামিলি না করছে তাই বিয়ে করবে না।

সে অন্যত্র বিয়ে করতে চায়।

বলে আমরা ফ্রেন্ড হিসেবে থাকবো,

তোমার ছেলে স্বামী আছে তাদের নিয়ে থাকো।

সে যোগাযোগ করে না।

স্বামী ফোন নিয়ে নেয়।

বলে ফোন থেকে দূরে থাকলে আমি সব ভুলে যাবো, সব ঠিক হয়ে যাবে।

কিন্তু আমার মনে সারাক্ষন তার কথা।

আত্মীয়দের পরামর্শে একজন সাইকলজিস্ট দেখাই।

তিনি ঘন্টাখানেক কথা শুনে ১ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।

শুধু বলে" বলেন"

নিজে কিছু বলে না।বিরক্ত হয়ে আর যাইনি।

আপনি বিদেশ ছিলেন তাই কয়েকদিন অপেক্ষা করে আপনার দেখা পেলাম।

আমি কিভাবে ঐ ছেলেকে ভুলে যাবো তার ব্যবস্হা করেন

..........................
এই কেইস হিস্ট্রি থেকে আমরা কি শিখতে পারি?

১। বাল্য বিবাহ ও সে বিয়েতে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যকার বয়সের পার্থক্য খুব বেশী হলে যে অনেক সংসারে বিপর্যয় নেমে আসে তা নিয়ে সমাজকে আরো সতর্ক থাকতে হবে।

সংসার জীবনে পারস্পরিক বোঝা পড়া,মানসিক- শারিরীক  - আবেগগত  এডজাস্টমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ।

২। দাম্পত্য জীবনে  সন্তোষজনক  ও তৃপ্তিদায়ক শারীরিক সম্পর্ক একমাত্র না হলে  ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

এ রকম যৌন সমস্যার ৮০-৮৫% মানসিক কারন সম্ভুত।

তাই যথাসময়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে তার সমাধান না করে একে উপেক্ষা করে চললে, একসময়   সম্পর্ক শীতল হতে পারে।এখানেও রোগীনি স্বামীর সঙ্গে এক বিছানায় শোয়াকে বিরক্তিকর, কষ্টদায়ক মনে করে ভিন্ন বিছানায় থাকতো

৩। তাকে সহ্য করতে পারতাম না,ভিন্ন বিছানায় থাকতাম-

অথচ এ রকম অস্বস্তিকর সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের বা পরিবারের কোন কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

দাম্পত্য সম্পর্কে মাঝেমাঝে   ভাটা পরতে পারে।

কিন্তু দীর্ঘ দিন শীতল ও বিদ্বেষ পূর্ন সম্পর্ক কখনোই কাম্য নয়।

বিদ্বেষ,ঘৃনা, তিক্ততা সময়ে কমে আসে না,বরং ব্যবস্হা না নিলে তা বাড়ে

এরকম ক্ষেত্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রফেসনাল সাহায্য নেওয়া জরুরী।

কেবল "পাগল" হলেই মানসিক সহায়তা নিতে হয় এ ধারনা বদলাতে হবে।

( এবার কিন্তু ঠিকই আমাদের কাছে এনেছেন।কেননা তারা ভাবছেন মেয়ে " পাগল" হয়ে গেছে)

৪। ফেইসবুকের অপব্যবহার আমাদের দেশে মাত্রাতিরিক্ত।

বেশীরভাগ এটিকে  খারাপ উদ্দেশে ব্যবহার করেন অথবা অপ্রয়োজনে ব্যবহার করেন  এ ব্যাপারে দ্বিমত করা যাবে না।

অনেক সামাজিক, পারিবারিক সমস্যার অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে এই ফেইসবুক।

( আমরা প্রচুর সংখ্যক রোগী পাই ফেইসবুক ব্যবহার জনিত জটিলতার জন্য)

এর ব্যবহার এর ধরন কার কি রকম তা পরিবারে নিরীক্ষনের ব্যবস্হা থাকতে হবে।

একবার বদ স্বভাবে দাড়িয়ে গেলে তখন ফেরানো কঠিন( অনেকে আসক্তি পর্যায়ে চলে যায়)

৫। প্রেম- ভালোবাসা অহরহ হচ্ছে।

কিন্তু কখনোকখনো তা মানসিক,পারিবারিক, সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।

আবার তা হঠাৎ মানসিক বিপর্যয় হিসেবে ও আসতে পারে( যেমন এ কেইস)।

তখন দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো জরুরী।

প্রয়োজন মত ঔষধ ও লাগবে।

মনে রাখবেন প্রেম বা আবেগের পিছনে রয়েছে মস্তিষ্কের রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ।

তাই রাসায়নিক( ঔষধ)  চিকিৎসার প্রতি নাক সিটকালে কাজ হবে না।

তাহলে পাবলিকের  মনে কথায় চিড়া ভিজে না ধারনা জোরদার হবে।

৫। সাইকোথেরাপিতে শুধু বলে যান নিয়ে যে অভিযোগ রোগিনী করেছেন তা থেকে আমাদের( প্রফেশনালদের)  যেমন শেখার আছে,রোগীদেরও কিছু শেখার আছে।

এটি ঠিক সাইকোথরাপিতে মনোযোগ দিয়ে শোনাটা গুরুত্বপূর্ণ,

উপদেশ বা সাজেশন দেওয়া কাজ নয়।

তবে থেরাপিস্টকে অভিজ্ঞ ও গভীর তাত্বিক জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে।

মনে রাখতে হবে রোগীরা তাদের কষ্টের উপশমের জন্য ডাক্তারের কাছে যান

এবং প্রথম সেশনেই তার কিছুটা হলেও প্রমান রাখতে হবে।

আমাদের ইনস্টিটিউটের একমাত্র সাইকলজিস্ট একদিন আমাকে বলেন, স্যার আপনি তো অনেক জায়গায় লিখেন,সাইকোথেরাপি যে কার্যকর সেটিও লিখবেন।

আমি বলি কথায় চিড়ে ভিজে না লোকে মনে করলেও " কথায় ও চিড়ে ভিজে" এ নামে কিছু লিখবো।

এখনো লেখা হয়নি( একসময় সাইকোথরাপি নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে)।

কিন্তু চিড়ে ভেজাতে হলে( মন গলাতে) বিজ্ঞান সম্মত জ্ঞান,মাঠ পর্যায়ের সবল দক্ষতা থাকতে হবে।

পয়সা দিয়ে রোগীরা শুধু কথা বলতে যান না বা কথা শুনতে।তারা নিরাময় চায়,ডাক্তারকে তা দেওয়ার মতন সক্ষমতা থাকতে হবে

Monday, March 6, 2017

ইন্টার্ন ডাক্তার আন্দোলন :প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি - একটি পোস্ট মর্টেম

১। বগুড়ায় ইন্টার্ন ডাক্তারদের আক্রোশ মূলক শাস্তি প্রদান ছিল ডাক্তার সমাজের জন্য শাপে বর বা আশীর্বাদ : কেননা স্বতঃস্ফূর্ত এ রকম আন্দোলন আদৌ হতো কিনা সন্দেহ, যদি না অহঙ্কারে দর্পিত মন্ত্রনালয় মৌছাকে ঢিল ( তরুন ডাক্তার) না মারতো।ডাক্তার সমাজকে যদি একটি গাছ হিসেবে ধরি দেখা যাবে এর ছাল- বাকড়া  টেনে তুলে ফেলেছে,শাখা- প্রশাখা দসুদল( প্রশাসন) কেটে ফেলেছে,বিধ্বস্ত অবস্থায় কোন রকমে ঝুলে আছে। ঐ গাছে রয়েছে একটি মৌচাক,আর তা হচ্ছে তরুন ডাক্তাররা।ডাক্তার সমাজের  যে যৎসামান্য কিছু সুযোগ সুবিধা  ছিল তা একে একে হরন করা হয়েছে,মান সম্মান ধূলায় লুটিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা নির্বিকার। তাদের উপর অবিরাম আক্রমণ হচ্ছে,ফৌজদারি আইনে আসামি বানানোর আইন হচ্ছে,৩য় গ্রেডের উপরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে - কিন্তু বিএমএ শুধু কৌশলী মৌখিক বিবৃতির মধ্যে সীমিত।নিজেদের অধিকার আদায় দূরে থাক,নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও আন্দোলন হবে, অবস্হা দেখে তেমন আশা অনেকেই  ছেড়ে দিয়েছিল।
বাস্তবতা হচ্ছে ৯০ এর পর ক্রমশ সকল পেশাজীবী সংগঠনই, যখন যে সরকার থাকে সে সরকারের " মনোনীত " সংগঠন হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই  ভয়ে থাকে ঐ উপরিমহল কখন নাকচ হয়,বিরক্ত হয় বা না জানি ক্ষেপে যায়।আর কিছু আছে যারা নানাবিধ লোভনীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়ার লোভে চাটুকারিতার প্রতিযোগিতায় নামে।তাই সব পেশাজীবী সংগঠনই ( তা এখন বা পূর্বেকার হোক)  তাদের সাধারন সদস্যদের দাবী নিয়ে তেমন জোরালো কোন আন্দোলন করছে না বা করতে চায় না।( সাগর- রুনী হত্যা আন্দোলন এক সময় কিভাবে ভেসতে যায় তা আমরা জানি)।
এই তিক্ত বাস্তবতার কারনে ডাক্তারদের বর্তমান শোচনীয় অবস্হায় কেন্দ্রীয় ভাবে জোরালো আন্দোলন হবে এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না।কিন্তু শাপে বর হয়ে এলো যখন অহঙ্কার দর্পিত মন্ত্রনালয় অবিবেচকের মতন ক্ষীয়মান ডাক্তার সমাজ- গাছের " মৌছাকটিতে" ঢিল মারলো।৫২,৬২,৬৯,৭১,৯০  তে এ দেশের তরুনরাই সামনের কাতারে ছিল।এবারো আশার আলো ছিল তরুন ডাক্তাররা।নেতাহীন,দিকনির্দেশনাবিহীন, ক্ষাপাটে আন্দোলন করতে পারে শুধু টগবগে তরুনরা।এবং তাই  তাদের শাস্তির আদেশ ছিল ডাক্তার সমাজের জন্য শাপেবর।
২। এই শাস্তির আদেশ ছিল ইগোর অহঙ্কার ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মন্দ উদাহরন:
একটি স্হানীয়,ক্ষুদ্র ঘটনাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে জাতীয় ইস্যু করা হয়েছে।অনেকটা সুয়োমোটো ভাবে অতি উচ্চ অবস্হান থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যা বড়জোর ঐ হাসপাতালের পরিচালক পর্যায়ে মিমাংসা করে ফেলার কথা।
৩। জিম্মি করে আন্দোলন ও আইন নিজের হাতে তোলার অভিযোগ : প্রথমত পৃথিবীতে এমন কোন আন্দোলন সফল হয়েছে যা কাউকে না কাউকে জিম্মি না করে হয়েছে? জিম্মি করার পরও কি দাবী আদায় সব সময় করা  যায়? অন্য কি পথ খোলা? আলেচনা? মানব বন্ধন? যারা চায় এ আন্দোলন সফল না হোক তারাই এ খোড়া যুক্তি দেবে।সবচেয়ে কম ক্ষতিকর আন্দোলন হচ্ছে  নিজ দায়িত্ব থেকে বিরত থাকা( মন্ত্রী  শাহজান খানের  ভাষায় স্বেচ্ছা অবসর)।তানা হলে রাস্তায় নেমে ভাংচুর করবে? এই কর্মবিরতি প্রত্যেক পেশাজীবীর অধিকার।কয়েক মাস আগে লন্ডনে ডাক্তাররা সর্বাত্মক আন্দোলনে নেমেছিল বেতন বাড়ানোর জন্য।সেখানকার সংবাদ পত্র বা বিচার বিভাগ একে জিম্মি বা বেআইনী কিছুই বলেনি।আর আমরা বেতন বাড়ানোর আন্দোলন করলে তো সংবাদ মাধ্যম একে মামা বাড়ীর আব্দার বলে উপহাস করতো।
২য়ত আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া- সারাদেশে সবাই সুবোধ বালকের মতন আইন মেনে চলে শুধু ডাক্তাররাই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। কোন তরুন ডাক্তার  কোন ভার্সিটিতে গিয়ে সেখানকার কোন তরুনীকে ইভটিজিং  করলে সে ডাক্তার সেখান থেকে হাড়গোর অক্ষত অবস্হায় ফিরতে পারবে কি?  সংসদে মারামারি হয় না? আদালতে বিচারকের দরজায় লাথি মারা হয় না? কারা এ সব করে? তারা কি আইনের লোক নয়? তারা কি অল্প বয়সী তরুন?
তবু এটি মেনে নেবো সরাসরি মার না দিয়ে ঐ ছেলেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে ঐ তরুন ডাক্তাররা বুদ্ধিমানের কাজ করতেন।কিন্তু বুদ্ধি সব সময় কাজ করে কি?

৪। আন্দোলন সফল না বিফল?
আগেই বলেছি দেশের সকল ডাক্তাররা বন্চনা,অপমানে অতিষ্ঠ। তারা একটি প্রবল ও সফল আন্দোলনের স্বপ্ন দেখছে বহুদিন যাবৎ।কিন্তু আন্দোলন ত হয়, কোন না কোন নেতৃত্ব দিয়ে( আমাদের মতন   ছা- পোষা লোকেরা লিখতে পারি,স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে পারি, কিন্তু আন্দোলন করতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বা প্রয়োজনের তাগিদে গড়া উঠা নতুন তেজী,বেগবান কোন প্লাটফর্ম অত্যাবশ্যক)।

প্রশাসন হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়াতে, ইন্টার্নদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়াতে আমরা একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন জেগে উঠতে দেখলাম।তাই আশাহত সকল চিকিৎসক নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো  এই আন্দোলন দিয়েই এবার অন্তত আমাদের দাবী আদায় করে ঘরে ফিরবো।

তবে বাস্তবতা কি? শক্তিশালী আপোষহীন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব না থাকলে, প্রচন্ড বৈরী আমলাতন্ত্র, সংবাদ মাধ্যম ও সরকারকে বাগে আনা কি এতো সহজ?  কিছুদিন আগেই কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রনালয় সহ পে- স্কেল বিরোধী আন্দোলনে  বিএমএ সহ পুরো প্রকৃচি কি ঘোড়ার ডিম অর্জন করেছিল?। কেন করতে পারেনি?

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের মর্যাদা ঠিকই আদায় করে নিয়েছে।ডাক্তারদের কি সে রকম শক্ত মেরুদণ্ড ও  মর্যাদাবোধ আছে যে তারা মর্যাদা আদায় করে নেবে?
আর ইন্টার্নদের কি দায় পড়েছে যে তারা  ডাক্তার সমাজের সকল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সরকারের রোষানলে নিজেদের সপে দিয়ে হয়রানির সম্মুখীন হবে? তখন তাদের বাচাতে কে এগিয়ে আসবে?
তার পরেও আন্দোলনে যতটুকু অর্জিত হয়েছে একে খাটো করে দেখার উপায় নেই। মনে করার কারন নেই প্রশাসন দয়া করে আপোষ করেছে। কেননা-
৫। ডাক্তার বনাম বিএমএ এর রয়েছে ঐতিহাসিক ও সফল আন্দোলনের ঐতিহ্য : এরশাদ সরকার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ডাক্তারদের আন্দোলন কি? ডা. মিলনের আত্মাহুতি স্বৈরাচার পতনে নিয়ামক ভূমিকা রেখেছে।অতীতে বিএমএ ছিল সকল সরকারের জন্য আতঙ্কের ব্যাপার।যারা বলে জনগনকে জিম্মি করে আন্দোলন করা অনুচিত তারা ভালো করেই জানে, কোন পেশাজীবীদের আন্দোলনে জনজীবনে কতটুকু প্রভাব পড়বে।সরকার ও ভালো করে জানে কারা ও কোন আন্দোলন গতি পাবে,সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে।মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় জানু রাজনীতিবিদ। উনি " হাওয়ার" গতি বুঝতে ভুল করার কথা নয়।দক্ষতার সহিতই তিনি পরিস্হিতি সামাল দেওয়ার জন্য যা কিছু করার,যে ভাবে করার তা করেছেন।তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত ধারনা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন।কেননা তিনি গন মানুষের সেন্টিমেন্ট সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারেন ও সেটিকে সম্মান করেন।
( তবে ছাত্রলীগের সহায়তা ছাড়া আমাদের নেতাদের সরব ও প্রকাশ্য তত্বাবধানে ফয়সালাটা হলে উনারা যেমন সম্মানিত হতেন,তেমনি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ডাক্তার সমাজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতো।ব্যাপারটি উইন উইন সিচুয়েশন হলে ভালো হতো।প্রশাসন ডাক্তার কমিউনিটিকে গুরুত্ব দেয়, মর্যাদা দেয়, নিচক দয়া করে না,আমরা এটি দেখতে চেযেছিলাম)।
তদুপরি আন্দোলন সফল না ব্যর্থ তা মূল্যায়নে তরুন ডাক্তার  ভাইদের বলছি- সফলতা মানে নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যে পৌছানো নয়,সফলতা হচ্ছে সে লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য অবিরাম যাত্র( জার্নি)।
অনেকে বলবেন এ সব  মনভুলানো কথা।তাদের জন্য বলছি
৬। ডাক্তাররা পারবে,বিশেষ করে তরুন ডাক্তাররা: ডাক্তার সমাজ এতোদিন শুধু প্রতিক্রিয়া মূলক আন্দোলন করেছে।তাদের যৎসামান্য যতটুকু  ছিল প্রশাসন বিভিন্ন সময় সে অধিকারগুলোও ছিনিয়ে নিতো।আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া  করে সে ছিনিয়ে নেওয়া অধিকার বা সম্মান ফেরত পেতে চাইতাম।কখনোকখনো ছিটেফোঁটা কিছু ফেরত পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতাম। কিন্তু কখনো পেশা হিসেবে ডাক্তারদের  উচ্চ মর্যাদা, সুযোগ সুবিধা  পাওয়ার যে কথা সেটি আদায়ে কোন ইতিবাচক, প্রো- একটিভ আন্দোলন  আমরা কখনো করিনি।

স্বতন্ত্র বেতন স্কেল,ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি, কৃত্য পেশা ভিত্তিক মন্ত্রনালয়,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহ তথাকথিত ক্যাডার বাদ দিয়ে মর্যাদা সম্পন্ন স্বতন্ত্র অবস্হান,সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় রাস্ট্রীয় আইন( যেমন বিচারকরা পেয়ে থাকেন) - ইত্যাদি  আদায়ে ইতিবাচক আন্দোলন আমরা কবে দেখবো?

হ্যা স্বপ্ন যদি দেখুন এরকম স্বপ্ন দেখুন,দুংসপ্ন নয়।দুঃসপ্ন হচ্ছে যা সামান্য আছে সেখান থেকেও কিছু ছিনিয়ে নিলে,হারালে বা অপমান অপদস্ত হলে তাৎক্ষনিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া করা।সেটি করতে হবে প্রানের দায়ে।কিন্তু মর্যাদা, অধিকার অর্জন করতে হবে প্রো একটিভ, লক্ষ্যাভিমুখী আন্দোলন দিয়ে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?

৭। চাই বিকল্প " তরুন ডাক্তার পরিষদ ":
বর্তমান  নতজানু,সুবিধাবাদী অবস্হার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত, এ তরুনরাই আমাদের এক মাত্র ভরসা।তোমরা ডা. মিলনের উত্তরসূরি। দল- মত- পথ নির্বিশেষে একটি কার্যকর বিকল্প প্লাটফর্ম তোমরাই তৈরী করতে পারো। যারা শুধু পেশার অধিকার,মান মর্যাদা নিয়ে কাজ করবে।

তার সূচনা তোমরা করে  ফেলেছো।এখানেই থেমে যাবে না।এ যাত্রা  অব্যাহত রাখতে হবে।" আজ ঐতিহাসিক  ৭ই মার্চ, বঙ্গবন্ধুর সেই অবিস্মরণীয়  বানী মনে রেখো "যার যা কিছু আছে" তাই নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পতে হবে
বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত