Wednesday, March 29, 2017

সাইকোলজিক্যাল টিপস-২৮: আবেগগত বুদ্ধি (Emotional Intelligence) কেন বেশী গুরুত্বপূর্ণ

পর্ব-১:
আপনি পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে অনেকদিন পর পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন।স্মৃতিকাতর হয়ে নিজের একটি আবেগঘন ঘটনা সংক্ষেপে তাদের কাছে শেয়ার করলেন।কিন্তু বেশীরভাগই আবেগহীন নিরুত্তাপ রইলেন।আপনি তাদের কাছে কোন সহানুভূতি কিংবা সহায়তা কামনা করেননি।তবে মমতা,দয়া,ভালোবাসা মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চয় আশা করেছিলেন।একজনকে তো দেখলেন হৃদয়- মস্তিস্কের যোগাযোগ হীন(heart- brain connectionless)। অথচ অন্য বৈষয়িক ব্যাপারে তারা সোৎসাহে গল্পগুজব করছে" আমি ওমুক করেছি,ও সেটা করেছে"- ইত্যাদি। এখানে কিসের ঘাটতি ছিল? আবেগগত বুদ্ধি মত্তা(ই আই)।

আবেগগত বুদ্ধিমত্বা হচ্ছে- নিজের ও অন্যের আবেগ বোঝার ক্ষমতা,বিভিন্ন অনুভূতির মধ্যে পার্থক্য করতে পারা,সঠিকভাবে সেগুলো লেবেল করতে পারা এবং এ সব আবেগগত তথ্য ব্যবহার করে নিজের চিন্তা ও আচরনকে গাইড করতে পারা।

ধরুন আপনারা মিটিং করছেন।একজন সহকর্মী পথে ৩ ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে আটক থাকার কারনে বিলম্বে সভায় হাজির হলেন।তাকে ঘর্মাক্ত, ক্লান্ত,উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। যার আবেগগত বুদ্ধি বেশী তিনি সহাস্যে এগিয়ে এসে উষ্ম অভ্যর্থনা জানাবেন,কেমন আছে তা জানতে চাইবেন,হয়তো ঠান্ডা পানির গ্লাস এগিয়ে দেবেন এমনকি হয়তো ৫ মিনিটের জন্য সভা স্হগিত করবেন তাকে ধাতস্ত হওয়ার সময় দেওয়ার জন্য। আর যাদের আবেগগত বুদ্ধি কম( তবে এদের বৈষয়িক,সামাজিক বুদ্ধি অতিরিক্ত থাকে) তারা তাকে নিয়ে উপহাস করবে,নিজেদের মধ্যে মিটিমিটি হাসবে,তাকে অকাজের,দায়িত্বহীন বলে প্রচার করবে।এক কথায় ঐ লোকের মনে বিষ ঢুকিয়ে দেবে,তাকে ছোট,হেয়,হীনমন্য করে বিকৃত আনন্দ অনুভব করবে
( পর্ব-২: আগামীকাল)

No comments:

Post a Comment