Friday, March 31, 2017

সাইকোলজিক্যাল টিপস-২৮

পর্ব-২:আবেগগত বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য (Emotional intelligence) :

আবেগগত বুদ্ধি গড়ে উঠার পিছনে পরিবেশ ও  " শৈশবে বেড়ে উঠার" ধরন(upbringing)ভূমিকা রেখে থাকে।।অনেক ভালো পরিবেশে মানুষ হওয়া ছেলে- মেয়েদের মধ্যে ও আত্মকেন্দ্রিকতা ও আত্মপ্রমের আধিক্য দেখা যায়।আবার  পরিবারে অবহেলা,নির্যাতন বা দারিদ্রতা সত্বে ও দেখা গেছে তাদের অনেকের মধ্যে উচ্চতর আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। এর কারন হতে পারে তাদেরকে  তাদের সেন্স গুলোকে তীক্ষ্ণ করে তুলতে হয়, যাতে তারা কঠিন পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে।সময়ের সাথে সাথে তারা এই গুনাবলীকে আরো  পরিশীলিত করে নেয়।

অন্যদিকে বিচ্যুত আচরন- স্বভাবের ছেলে মেয়েদের মধ্যে আবেগগত বুদ্ধি থাকে না বললে চলে।ফলে তারা সঙ্গীদের সঙ্গে বা বাসায় খাপ খাইয়ে চলতে পারে না; জীবনে ভারসাম্য পূর্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করতে পারে না; স্কুলে প্রত্যাশিত ফলাফল করতে পারে না; নিজকে শান্ত রাখতে বা করতে পারে না; সমস্যা সমাধানের কৌশল আয়ত্ব করতে পারে না।

আবেগীয় বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য :
১। আত্ম সচেতন থাকা: নিজের আবেগকে জানা; কি আবেগে আক্রান্ত তা স্বীকার করে নেওয়া; ও বিভিন্ন আবেগের পার্থক্য বুঝতে পারা

২। ম্যূড ম্যানেজমেন্ট :  বর্তমান সিচুয়েশন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য  অনুভূতিগুলোকে হ্যান্ডেল করতে জানা এবং যথাযথ ভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারা

৩। সমমর্মী হওয়া(Empathy): সহানুভূতি (sympathy)  ও সমমর্মী( এমপ্যাথী) এক বিষয় নয়।এটি হচ্ছে অন্যের অবস্হান থেকে তার আবেগ অনুভূতিকে বোঝা এবং তাদের সে প্রকাশ্যে বলা(verbal)   ও না বলা ( নন ভারবাল) আবেগগুলোর সঙ্গে নিজের আচরনকে সামন্জস্যশীল করে নেওয়া।

৪। সম্পর্কগুলো ম্যানেজ করতে পারা: আন্তব্যক্তিক ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়াকে  সঠিকভাবে  হ্যান্ডেল করা; দ্বন্দ্ব নিরসন করা; ও নিগোশিয়েসন করতে পারা

৫। সেলফ- মটিভেশন:
আত্মসংশয়,নিষ্ক্রিয়তা,আবেগের বশবর্তী থাকা সত্ব্যেও নিজের ভাবাবেগগুলোকে একত্র করে , একটি উদ্দেশ্যমূলক লক্ষ্যে পৌছার জন্য নিজকে সঠিকভাবে চালিত করতে পারা।
(৩য় ও শেষ পর্ব- আগামী কাল)

No comments:

Post a Comment