আসুন কিছু খই ভাজি
( ২২ শে শ্রাবন ছিল কবিগুরুর প্রয়ান দিবস- কিন্তু বিশ্ব বন্ধু দিবসের ডামাঢোলে "রবি "অস্তমান অবস্হায়।)
গুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে - তারই কিছু বয়ান পরিবেশন করছি(খই ভাজা)
১। সবাই মোরে করেন ডাকাডাকি
কখন শুনি পরকালের ডাক
সবার আমি সমান বয়সী যে
চুলে আমার যত ধরুক পাক
( চুল পাকলেই মানুষ বৃদ্ধ হয় না- রবি গুরু তো নয়ই, তারুন্য মনের ব্যাপার। আবার চুল পাকলেই জ্ঞানী বা অভিজ্ঞ হয় না, প্রয়োজন জানার,বোঝার ও দেখার মানসিকতা)
২। "ছোট বড়" প্রবন্ধে-
নিজের ধর্মের নামে পশু হত্যা করিব অথচ অন্যে ধর্মের নামে পশু হত্যা করিলে নরহত্যার আয়োজন করিতে থাকিব,ইহাকে অত্যাচার ছাড়া আর কিছু নাম দেওয়া যায় না
( কিন্তু পশু হত্যার কারনে নর হত্যা আজও বিদ্যমান।আমরা কবে কবি গুরুর এরকম অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করবো?)
৩। মনুষ্যত্বের অপমানে বিধাতার কাছে তীব্র অভিযোগ -
আমি যে দেখেছি গোপন হিংসা
কপট রাত্রি ছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে
আমি যে দেখেছি প্রতিকারহীন
শক্তের অপরাধে
বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাদে
( বিশ্বজিৎ হত্যার মামলা সহ হাজার হাজার বিচারের বানী আরো কতদিন নিরবে নিভৃতে কাদবে?বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্য ধর্ষন সহ সব ধরনের অপরাধ দেশে বেড়েই চলছে)
৪। সোনার তরীর "পুরস্কার "কবিতা থেকে
সংসার মাঝে কয়েকটি সুর
রেখে দিয়ে যাবো করিয়া মধুর
দু'একটি কাটা করি দিব দূর
তারপর ছুটি নিব
(দেশ, সমাজ,মানুষের পথের ক'টি কাটা দূর করেছি? ক'টি সুর বাধতে পেরেছি যা নিজ জীবন ও মানব জীবনকে করে তুলবে মধুর করে?এই মহান কবির প্রয়ান দিবসের প্রতিজ্ঞা হোক- অন্তত সমাজ জীবনের কয়েকটি কাটা,জন্জাল দূর করবো; অন্তত কয়েকটি কল্যাণ মূলক কাজ, সৃজনশীল নির্মাণ করে যাবো যা নিজ জীবনকে তো বটে,সমাজ ও বৃহত্তর মানব জীবনকে মধুর করবে)
No comments:
Post a Comment