পর্ব-২: মাদকাসক্তির ব্রেইন মেকানিজম
( আমার " মাদকাসক্তি :একটি নিরাময়যোগ্য ব্রেইনের রোগ" এ আসক্তির ব্রেইন মেকানিজম নিয়ে একাধিক অধ্যায় রয়েছে
সে সব থেকে চুম্বক কয়েকটি কথা জানাবো)
সংক্ষিপ্ত ব্রেইন মেকানিজম :
পর্ব-১ এ বলেছি মাদক দ্রব্য ব্রেইনে গঠনগত পরিবর্তন সাধন করে বলে মাদক নেওয়া রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়ায়।
ব্রেইন নিজেই আসক্ত হয়ে পড়ে( addictive brain)
ব্রেইনের এ পরিবর্তন গুলোর জন্য তাদের মধ্যে বিশেষ কিছু আচরন পদ্ধতি গড়ে উঠে;
তাদের মন- মেজাজে পরিবর্তন আসে;
আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়;
বিবেক- বিচার বোধ ভোতা হয়ে যায়;
সিদ্ধান্ত গ্রহন, দায়িত্ব পালনে অপারগতা দেখা দেয়- ইত্যাদি।
মনে রাখা ভালো আমাদের শরীরে/ ব্রেইনে প্রাকৃতিক ভাবে মাদক সদৃশ রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।
এগুলোকে বলা হয়- endogenous addictive neurone transmitter।
যেমন: হিরোইন আফিম জাতীয় সমগোষ্ঠীর দ্রব্য -এন্ডোরফিন ও এনকাফিলিন থাকে ব্রেইনে; গাজার সমতুল্য রয়েছে-এনানডামাইড।
বাইরের হেরোইন,গাজা যে রকম মনকে আনন্দ, তৃপ্তি দিয়ে থাকে,
ব্রেইনের নিজস্ব এসব দ্রব্য ও তেমন কাজ করে থাকে।
(অবাক হচ্ছেন যে স্রষ্টা ব্রেইনে মাদক রেখে দিয়েছে?তবে এগুলো ভালো অনুভূতির জন্য এবং এগুলোর অপব্যবহার করতে পারবেন না)।
কিন্তু ব্রেইনের নিজস্ব এসব বার্তাবাহকের তুলনায়, বাহির থেকে গ্রহন করা " মাদকের" আকর্ষণ ক্ষমতা অনেক বেশি।
বাইরের আফিম,হিরোইন, ইয়াবা ব্রেইনের এসব আভ্যন্তরীণ বার্তা বাহক সিস্টেমকে
রীতিমত " হাইজ্যাক" করে ফেলে।এভাবে স্বাভাবিক আনন্দ -পুরস্কার তন্ত্র, ঐসব মাদকের কাছে " জিম্মি" হয়ে যাওয়াতে,
মাদকাসক্তরা জীবন থেকে সাধারন আনন্দ স্ফূর্তি আর নিতে পারে না।
আনন্দ স্ফূর্তি ও চাঙ্গা ভাবের জন্য তারা ঐ বাহির থেকে গ্রহন করা " মাদকের" উপর পূর্নভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
এক কথায় ব্রেইন- মনের " hedonic capacity " ( আনন্দ সুখ অনুভব ক্ষমতা) নষ্ট হয়ে যায়
।সর্বশেষ তত্বে এ মতকে বেশি সমর্থন করা হয় যে,
মাদকাসক্তির প্রধান কারন নিছক আনন্দ খোজা নয়,
বরং হারানো আনন্দ ( মাদকের কারনে হারানো) কৃত্রিম ভাবে ফিরে পেতে তারা বার বার তারা মাদকের দিকে ফিরে যায়।
তবে আনন্দ -পুরস্কার পাওয়া ও নেওয়াটি ও গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের ব্রেইনে এরকম একটি তন্ত্র রয়েছে যার
নাম - Reward system বা " পুরস্কার /আনন্দ তন্ত্র ।
এ সিস্টেমটির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে-Mesolimbic- dopaminergic system ।
সব মাদক দ্রবই ( ঘুমের ঔষধ - বেনজোডায়াজেপিন ছাড়া) এই ডোপামিন তন্ত্রকে উজ্জীবিত/সক্রিয় করে।
ক্ষিধা পেলে খাদ্য যে তৃপ্তি দেয়,পিপাসায় পানি যে তৃপ্তি দেয় তা এই মেসোলিম্বিক ডোপামিন তন্ত্রের জন্যই।
ঠিক একই রকমের চাহিদা,তৃপ্তি পূরন করে ঐ সব মাদক।
বরং প্রাকৃতিক এসব চাহিদার চেয়ে( খাওয়া,যৌনতা) মাদকের আকর্ষণ / প্রলোভন আরো বেশি মাত্রার হয়ে থাকে।
ইদুরকে কোকেন দিয়ে দেখা গেছে এরা নিত্য দিনের খাবার বাদ রেখে শুধু মাত্র ঐ মাদক গ্রহনে ব্যস্ত থাকে
ও এভাবে না খেয়ে এদের অনেকে মারা যায়
।মাদক এমনি শক্তিশালী ইনসেন্টিভ যা অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় নাওয়া-খাওয়া ও ভুলিয়ে দেয়
(এই রিওয়ার্ড সিস্টেমে রয়েছে : NAc( nucleus accumbens); Ventral tegmental area(VTA);Pfc(( pre- frontal cortex); Amygdala;bed nucleus of striaterminalis( BNST)।)
খটমটে ও জটিল প্রক্রিয়া গুলোর বর্ননা না দিয়েও সহজভাবে বলি-
প্রায় সব মাদক( বেনজোডায়াজেপিন ছাড়া) NAc অন্চলে ডোপামিনের পরিমান বাড়িয়ে দেয়
।এ অন্চলের ডোপামিন রিসিপ্টরগুলো মাদক দ্রব্যের প্রধান ও মূল বল বৃদ্ধিকরনের ( re-enforcement) কাজটি করে থাকে।
ডোপামিন হচ্ছে সে দ্রব্য যা ঐ পুরস্কার তন্ত্রের বাহক এবং যা ইতিবাচক জিনিস দিয়ে উদ্দিপ্ত হয়।
যেমন - খাদ্য, পানীয়, যৌনতা।এগুলো হচ্ছে প্রাকৃতিক পুরস্কার আর মাদক হচ্ছে কৃত্রিম তবে এরচেয়ে ও শক্তিশালী পুরস্কার বা বখশিশ।
এ জন্য নেশা গভীর পর্যায়ে গেলে সব ধরনের প্রাকৃতিক পুরস্কার বা তৃপ্তির ব্যাপার গুলো দমিত হয়ে যায়।
ফলে ব্রেইন স্বাভাবিক জীবন থেকে সুখ,তৃপ্তি,শক্তি অর্জন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এ জন্য তার আনন্দ, সুখ,শক্তিমত্বা,চাঙ্গাবোধের এক মাত্র উৎস হয়ে দাড়ায় ঐ মাদক।
তাই মাদক ছাড়া তার জীবন হয়ে পড়ে অচল।
শত ঔষধ, থেরাপি, উপদেশ তার ঐ অক্ষমতা,অচলায়তন সহজে আরোগ্য করতে পারে না।
অথচ নিমিষে মাত্র ১ ডোজ মাদক তাকে ঐ হারানো শক্তি,আনন্দ, উচ্ছলতা ফিরিয়ে দিতে পারে
( যদিওবা তা সাময়িক এবং যে মাদক তার এই পঙ্গুত্বের জন্য দায়ী সেটি বার বার নেবার ফলে প্রতিবারই তার ঐ অক্ষমতা আরো বাড়তে থাকে)।
মাদকাসক্তির কারন গুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করছি:
১।মন- ব্রেইনের পুরস্কার /আনন্দ তন্ত্রের বল- বৃদ্ধি হওয়া--
মাদক ডোপামিন রিলিজ করে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। রোগীরা এরকম অনুভুতিকে বর্ননা করেন - এক অলীক আনন্দ শিহরনের সঙ্গে
।একে বলা হয় Rush বা high।
মাদক গ্রহনের অন্যতম কারন এই "রাস বা হাই ভাব" পাওয়া।
এটি হচ্ছে -" তৃপ্তিদায়ক পর্যায় ( consummatory phase) ।
২। মাদক শুধু আনন্দ দেয় না- এ শরীর মনের উদ্বেগ, যাতনা,ব্যথা কমিয়ে দেয়।এ কারনেও মাদক আকর্ষনীয়।
৩। পারিপার্শ্বিক উপাদান গুলোর সঙ্গে মাদক গ্রহনের একটি "যোগসূত্র " তৈরী হয়ে যায়।
যাকে " "কন্ডিশনিং"-বলা হয়।
অর্থ্যাত যে বন্ধুরা,যে জায়গাগুলো,যে অনুসঙ্গ গুলো,যে আবেগ-অনুভুতিগুলো মাদক গ্রহনের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলো মাদকের "আনন্দ -সুখের" সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়ে।
যে কারনে সেগুলো নিজেরাই পরবর্তীতে মাদকের " আকর্ষণ /টান" তৈরী করে।
ফলে এদের প্রভাবে সে পুনরায় মাদক গ্রহন করে ফেলে।
৪।ক্ষুধা বর্দ্ধক পর্যায়টি অতি সংবেদনশীল হয়ে পড়া( Sensitization of appetitive phase) :
কাউকে তার প্রিয় বিরানি ৩ বেলা সপ্তাহ খানেক খেতে দিলে বিরানির প্রতি অরুচি তৈরি হবে
।প্রাকৃতিক সকল আবেগ,আকর্ষণ এভাবে ক্রমশ কমে আসে।
( প্রেম- বিয়ের রোমান্স ও এভাবে দিনে দিনে থিতিয়ে আসে)।
কিন্তু মাদক উল্টো ব্রেইনের এই ক্ষুধাবর্দ্ধক পর্যায়কে ক্রমশ আরো সংবেদনশীল করে তোলে।
ফলে যতদিন যায় মাদক তাদের কাছে আরো আকর্ষনীয়,আরো লোভনীয় হয়ে দাড়ায়।
যত খায় তত আরো লোভনীয় মনে হয়( লোভনীয় খাবার পেলে আপনি কি করবেন?)
৫।অন্য দিকে "তৃপ্তি পর্যায়টি"(consummatory phase) ভোতা হতে থাকে।
মাদক নেওয়ার পর প্রথম দিকে যে তৃপ্তি পেতো , দিনকে দিন সে তৃপ্তির মাত্রা কমতে থাকে।
ব্রেইনে মাদকের প্রতি " সহনশীলতা " বেড়ে যাওয়াতে( টলারেন্স)
একই মাত্রার মাদক আগের পরিমাণে তৃপ্তি দিতে পারে না।
তাই ক্রমাগত মাদকের পরিমান বাড়িয়ে নিতে হয়।
একদিকে মাদকের ক্ষুধা বাড়ে,অন্য দিকে যতটুকু নেয় তা তৃপ্ত করে না--
তাহলে সে হন্য হয়ে মাদকের পিছনে ছুটবে,সেটি কি অস্বাভাবিক?
৬।বোনাস( ইনসেন্টিভ) :
মাদক "পুরস্কার " তন্ত্রে " বোনাস" হিসেবে (incentives) কাজ করে।
বোনাস মানে বাড়তি আনন্দ, বাড়তি সুযোর,বাড়তি সম্মান,স্বাধীনতা।
ব্রেইন তাই মাদকের বোনাস পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে( আমরা যেমন ঈদের বোনাসের অপেক্ষায় থাকি)।
রেগুলার মানসিক বোনাস পাওয়ার লোভ কতজন সামলাতে পারে?
৭। উইথড্রল সিমপ্টমস-
মাদক প্রত্যাহার জনিত কষ্টকর লক্ষণ সমূহ:
মাদক ছেড়ে দেওয়া মুখের কথা নয়( দুই দিন সিগারেট ছেড়ে দেখুন)।
মাদক না নিলে যে তীব্র যন্ত্রণা,কষ্ট তৈরি হয় তা যে কত ভয়ঙ্কর সেটি একমাত্র ভুক্তভোগী ও তার কাছের লোকেরা জানে।
বহু চেষ্টা করেও তারা কেন মাদকে বার বার ফিরে যায় তার অন্যতম কারন এটি।
৮।স্বাভাবিক আনন্দ, সুখ হারিয়ে যাওয়া(reduced hedonic capacity) :
আগেই উল্লেখ করেছি নেশা ব্রেইনের আনন্দ সুখ অনুভবের ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে।
আনন্দ পাওয়ার চেয়ে পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবন থেকে আনন্দ, তৃপ্তি, সুখ, না পাওয়ার কারনে মাদকাসক্তিরা কৃত্রিম আনন্দ, তৃপ্তি ও শক্তি পেতে মাদক নিতে বাধ্য হয়।
তখন এটি তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাড়ায়
৯।অপ্রত্যাশিত পুরস্কার /আনন্দের সংবাদ:
আমরা যখন অপ্রত্যাশিত কোন আনন্দ সংবাদ শুনি বা অভাবিত কোন ভালো জিনিষ পেয়ে যাই
, তখন ব্রেইনের NAc অন্চলে ডোপামিনের নিঃসরন হয়।
মাদকাসক্তদের বেলায়ও অনেকদিন নেশা গ্রহন না করলে হঠাৎ কোথাও সে " বহু কাঙ্খিত" মাদক প্রাপ্তির সম্ভাবনার ঝিলিক দেখা দিলে,
তাদের ব্রেইনেও ডোপামিন নিঃসরিত হয়।
বাধ ভাঙ্গা প্রবল স্রোতের মতন ডোপামিন নিঃসরিত হতে থাকে।
তখন মাদক ত্যাগের তাদের সকল সংকল্প, প্রতিজ্ঞা ও শুভ ইচ্ছা মুহূর্তে ভেসে যায়।তারা তখন আকন্ঠ নেশায় ডুবে যেতে চায়
১০। মানসিক চাপ,নেতিবাচক অনুভুতি,অন্তঃদন্ধ মাদকের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে
১২। বিশেষ দিন,উৎসব একইভাবে মাদক নেশাকে চাঙ্গা করে( থার্টি ফার্স্ট ডে,ঈদ,নববর্ষ...)
১৩। হাইপোফ্রন্টালিটি:
আগেই বলেছি Pfc অন্চলের কথা-
নেশা বাড়তে থাকলে এ অন্চলের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স হচ্ছে মানুষের " মানুষ " হয়ে উঠার প্রধান কারন।
বুদ্ধি, বিবেক,বিবেচনা, নৈতিকতা, সুশীলতা,মানবিকতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্ম সংযম, সিদ্ধান্ত গ্রহন - ইত্যাদির কেন্দ্র এটি।
স্বাভাবিক ভাবেই এর কার্যক্ষমতা কমে গেলে :
আবেগ তাড়িত,ঝোকের মাথায় কাজ করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়( হঠাৎ ক্ষিপ্ত হওয়া,আঘাত করা,খুন করা) ;
সুবিবেচনা প্রসূত চিম্তা ও কাজ করতে অক্ষম থাকে;
সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন সম্ভব হয় না।
এসব কারনে লজিক খাটয়ে,ধ্যৈর্য ধরে আবেগ,তাড়না নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
১৪।নতুন ক্ষতিকর আচরন সৃষ্টি :
VTA এর ডোপামিন স্নায়ুকোষ গুলো
অতিরিক্ত " সেনসিটাইজড" হয়ে যায়।
ফলে মাদকের বোনাস পুরস্কার পাওয়ার জন্য রোগী অনেকগুলো আচরন,দক্ষতা অর্জন করে
।কিভাবে কত নিপুনভাবে মাদক সংগ্রহ, কেনা ও গ্রহন করতে হবে তারা সেসব দক্ষতা ভালোভাবে আয়ত্ব করে।
বিনিময়ে ভালো আচরন ও দক্ষতা কমে যায়।
তাই মাদক ছাড়তে যত অপারগ, মাদক নিতে তত পারঙ্গম হয়।
১৫।CREB( cAMP response element binding protein):
এটি মাদকের পুরস্কার ও বোনাস প্রাপ্তির আগ্রহ ও আকর্ষনকে বাড়িয়ে দেয়।
এ বাড়তি আকর্ষনের জন্য রোগীর মধ্য কিছু শিক্ষন( ইনসেন্টিভ লার্নিং) অর্জিত হয়।
মাদকের বোনাস ক্ষমতাকে উচু মাত্রায় নিয়ে যায় বলে মাদক আরো লোভনীয়, আকর্ষনীয় হয়ে উঠে।
যেন রূপসী পরি হাতছানি দিয়ে ঢাকছে।মাদকের আকর্ষন হয়ে উঠে দুর্বার ও অপ্রতিরোধ্য।
ঐ " বেহেস্তী ফল" পেতে তখন তারা আরো দক্ষ হয়ে উঠে।
সে আচরন তখন বদলানো কঠিন।
১৬। স্মৃতি সংবেদনশীলতা :
যতই দিন যায় আমাদের স্মৃতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যায়।
কিন্তু মাদক সংক্রান্ত স্মৃতিগুলো দুর্বল না হয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে।
এ ক্ষেত্রে " এমাগডেলার" ভূমিকা রয়েছে।
এই উজ্জ্বল, জ্বল জ্বলে স্মৃতিগুলোই যথেষ্ট মাদক বর্জন করার পরও রোগীর মধ্য মাদকের " টান" সৃষ্টি করতে
## সব মিলিয়ে " আসক্ত ব্রেইনই" যথেষ্ট বার বার মাদকের দিকে টেনে নিতে(অন্যদের প্ররোচনার তেমন দরকার পড়ে না)
## তাই ক) কেন তারা মাদক সহজে ছাড়তে পারে না
খ) কেন চিকিৎসায় সহজে ফল পাওয়া যায় না
গ) কেন দীর্ঘ স্হায়ী ও বহুমুখী সমন্বিত চিকিৎসার প্রয়োজন - নিশ্চয় আপনাদের বুঝে আসবে
No comments:
Post a Comment