Tuesday, May 7, 2019

সাইকিয়াট্রিস্ট এর জার্নাল -৪৬ঃআইনস্টাইন কিসের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?

ভাববেন না তাঁর বিখ্যাত "আপেক্ষিক তত্ত্বের" জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। তিনি নোবেলজয়ী হন "ফটো-তড়িৎ ক্রিয়া" ব্যাখ্যা করার জন্য।
কি সে ফটো তড়িৎ ক্রিয়া?

আসুন একটু খানি বিজ্ঞান চর্চা করিঃ
বর্তমানে আমরা টেলিভিশনে যে ছবি দেখি তা আলো-তড়িৎ ক্রিয়ারই ফল;স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার সব কিছু এই আলোক তড়িৎ ক্রিয়ার ফলাফল। সর্বোপরি আলোর কনা ও তরঙ্গ ধর্মের যে আন্তক্রিয়া পরবর্তীতে এটাই "কোয়ান্টাম মেকানিক্স " এর ভিত্তি গড়ে দেয়।

আলো কি কণা না তরঙ্গ? ।তবে কণা তত্ত্ব আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আইনস্টাইন যুগান্তকারী প্রস্তাব করেন যে আলো যুগপৎ তরঙ্গ ও কণা।
কোয়ান্টাম তত্বের উদগাতা ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক আলোর ক্ষুদ্র শক্তি গুচ্ছকে বলেছেন "কোয়ান্টা " বা প্যাকেট। সেখান থেকেই কোয়ান্টাম তত্ব নামটি এসেছে।

আইনস্টাইন আলোর সর্বনিম্ন সেই শক্তির প্যাকেট /কোয়ান্টাকে বললেন "আলোর কণা "। তিনি সেই কণার নাম দিলেন " ফোটন" কণা।
ফোটন ভরহীন কণা তবে গতিশীল ফোটনের ভরবেগ আছে।

ভরবেগ ও শক্তিসম্পন্ন কণাকে তিনি "কামানের গোলার" সাথে তুলনা করেন।তিনি বলেন আলোর কণা কামানের গোলার মতন প্রবল বেগে ধাতুর পরমাণুতে আঘাত হানে, তখন পরমাণুর ভিতর থেকে ইলেকট্রন ছিটকে বেড়িয়ে যায়।

যদি আলো তরঙ্গ  হতো তাহলে  ইলেকট্রন বের হতে প্রায় ৫০০ দিন সময় লাগতো। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে মুহূর্তেের মধ্যেই সোডিয়াম ধাতু ইলেকট্রন নির্গত করে ফেলে। সেটি এক ন্যানো সেকেন্ডের মধ্যে।

আলো কণা বলেই ফোটন কণা একটি ইলেকট্রনকে আঘাত করে  এবং ইলেকট্রন ঐ শক্তি গ্রহণ করে তীব্র বেগে বের হয়ে যায়।

যদি তরঙ্গ গুচ্ছ হতো তাহলে নির্দিষ্ট কোন আকার থাকতো না। তখন তরঙ্গের শক্তি ভাগ হয়ে যেতো পরমাণুর সব ইলেকট্রনে।

ফলে একক কোন ইলেকট্রন বের হয়ে আসার মতন পর্যাপ্ত শক্তি পেতো না। আরো অনেক তরঙ্গ ঝাক আসতে হতো কোন ইলেকট্রনকে বের করে দেওয়ার মতন শক্তি সন্চয় করতে। তারমানে অনেক সময় লেগে যেতো।

কিন্তু আলোর তড়িৎ ক্রিয়া কোন কালক্ষেপন করে না। তাই আলো যে এক্ষেত্রে "কণা " হিসেবে কাজ করে এটি ব্যাখ্যা করে আইনস্টাইন নোবেলজয়ী হন

No comments:

Post a Comment