Sunday, January 21, 2018

রোগ কাহিনী-২৫: এক মায়াবতী, রূপসী কিশোরীর করুন কাহিনী

কাহিনী সংক্ষেপ :

আমিরুল -বর্তমানে বয়স ৩২। সে ছোটকাল  থেকে অটিস্টিক  ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি।

তারা এক ভাই ও এক বোন।বোন বিয়ে করে জার্মান চলে যায়।তার খালু ও মা চেয়েছিল তার ঐ বোনের সঙ্গে তার খালাতো ভাইকে বিয়ে দেবে।তার মা ঐ ছেলেকে জামাই বাবা বলে ডাকতো।কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্হা খারাপ থাকাতে ঐ মেয়ের এক ইন্জিনিয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায়

আমিরুল মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও সে মা- বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান হওয়াতে, তার খালু চেয়েছিল তার সঙ্গে তার এক মেয়েকে বিয়ে দেবে।ঢাকায় আমিরুলদের একতলা একটি বাড়ী আছে।গ্রামে ও প্রচুর সম্পত্তি। কিন্তু ঐ মেয়ে এরকম হাবাগোবা,কুৎসিত চেহারার,অকর্মন্য ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয় না।

এতে  ঐ বাবার মনে আফসোস থেকে যায়।একারনে সে লোক তার কনিষ্ঠ কন্যাকে আমিরুলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করে।

এই মেয়েটির বয়স তখন ১২-১৩ বছর হবে।সে দেখতে শ্যামলা,কিন্তু খুবই সুশ্রী, মিস্টি চেহারার,মায়াবতী মেয়ে।এ বিয়ে নিয়ে তাদের আত্মীয়দের মধ্যে মতানৈক্য হয়।

তবে এ লক্ষি টাইপের, অল্প বয়সী মিস্টি চেহারা লাজুক মেয়েটি, বাবার কথার অবাধ্য হয় না।সে রাজি হয়ে যায়।

অল্প বয়সের মেয়ে বিয়ে কি,সেক্স কি, ভবিষ্যৎ কি তেমন বুঝতো না।সবাই আশা করেছিল ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও, কিছু করতে বা বুঝতে না পারলে ও তাদের একটি সন্তান হলে, মেয়েটি তাকে নিয়ে কোনভাবে জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে।

কিন্তু সে সব দিক থেকেই অপারগ।আমিরুল বউ কি,ভালোবাসা কি,সেক্স কি,দায়িত্ব কি - কিছুই বুঝে না।

বরং তাকে খাইয়ে দেওয়া,গোসল করানো থেকে শুরু করে সব কিছু এই মেয়েকে করতে হয়।নিজ মা- বাবা যা করতে হিমসিম খায়,যা করতে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে যায়- এ মেয়ে অবলীলায় তা করে যায়।

২-৩ বছর পরেও যখন আত্মীয়রা দেখলো আমিরুল কোন সন্তান তো দিতে পারছে না,বরং তার তেমন শারিরীক সম্পর্ক করার চিন্তা, চেষ্টা, আগ্রহ, ধারনা কোনটিই নাই- তখন উভয় পক্ষের আত্মীয়রা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমিরুলের বউয়ের বয়স এখনো কম আছে,সে সুন্দরী তাই এভাবে তার জীবন নষ্ট করা ঠিক হবে না।

সবাই তখন ঐ মেয়েকে আমিরুলকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করতে বলে।

কিন্তু এই ২-৩ বছরের মধ্যে মায়াবতী মেয়েটি এক মায়ার জালে জড়িয়ে যায়।সে বলে ওকে ছেড়ে যাবো চিন্তা করলেই আমার বুক ফেটে যেতো,কান্না পেতো।

ভাবলাম আরেকটি বিয়ে করলে সে স্বামী যে ভালো হবে তার গ্যারান্টি কি?  এ যদি আবার কোন মেয়েকে বিয়ে করে সে মেয়ে পারলে আমি কেন পারবো না?

তাছাড়া আমি তো অন্য সবদিক থেকে ভালো আছি।ভালো খাচ্ছি, ভালো পড়ছি,সবার আদর পাচ্ছি। এমনকি ও আমাকে পছন্দ করে,আমার মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দেয়।

আমি একে কিভাবে ছেড়ে যাবো? ও এতো অসহায়, ও আমার উপর নির্ভরশীল - আমি চলে গেলে  ওর কি হবে?

না পেলাম স্বামীর সোহাগ বা দৈহিক আনন্দ।না পারুক আমার জন্য কিছু করতে,হোক সে দেখতে কুৎসিত।সে তো সরল,অন্য পুরুষের মতন তার তো কোন বদ স্বভাব নেই-

আমার শুধু একটি সন্তান হলেই চলবে।

কিন্তু এরপর আমিরুলের আরো অবনতি হয়,অস্বাভাবিক আচরন বেড়ে যায়,সারাক্ষণ হা করে থাকে,লালা জড়ে।তাকে সে লালা মুছে দিতে হয়,তার খামখেয়ালি পনা,অবাস্তব আবদার মেটাতে হয়।

তার দাম্পত্য জীবন বলে কিছু নেই,সন্তান তো দূর থাক।

অনেক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো হয়েছে।সবাই বলে এর উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই

।মেয়েটি কাদতে কাদতে বলে স্যার, আপনার অনেক প্রশংসা শুনে এসেছি।আমি সেক্স চাই না,ভালোবাসা, আদর চাই না, আমাকে শুধু একটি সন্তান পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

একে আমি ছাড়তে পারবো না -ছাড়ার চিন্তা করলেই কান্না আছে,বুক ফেটে যায়। ওকে সুস্হ করে আমার একটি সন্তান হওয়ার ব্যবস্থা করে দিন স্যার

এ কাহিনী কি বলে:

১।অটিজম, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েকে নিয়ে নিজ মা- বাবারাই যেখানে থাকে অতিষ্ঠ। সেখানে একটি রুপসী,কিশোরী কি দেখে মায়ায় জড়ালো?

২। টাকা পয়সা,সম্পত্তির লোভে অনেক গরীব মা- বাবা তাদের সুন্দরী, গুনবতী মেয়েদেরকে ও আমিরুলের মতন সবদিক থেকে প্রতিবন্ধী ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে থাকে।

একদিকে প্রতিবন্ধীদের ও অধিকার রয়েছে ঘর সংসার করার,

আবার একটি গরীব ঘরের মেয়ের ও অধিকার,সাধ থাকে -একজন স্বাস্হ্যবান,সুস্হ,উপার্জনক্ষম, স্বাভাবিক স্বামীর ঘর সংসার করার।

এ দুয়ের সহজ ও ভালো সমাধান কি?

৩। আমিরুলের মিস্টি,রুপবতী বউ কিন্তু নিজ থেকে তাকে মেনে নিয়েছে। একজন কিশোরী -তরুনী মেয়ে সব ধরনের মানসিক, সামাজিক, দৈহিক চাহিদা থেকে বন্চিত থেকেছ  ও সে আমিরুলের সঙ্গে সংসার করতে হাসিমুখে রাজি।

শারিরীক আনন্দের জন্য নয়,শুধু ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে তার জীবনের একমাত্র চাওয়া,আকাঙ্ক্ষা তার যেন একটি সন্তান হয়।হোক তা ছেলে বা মেয়ে।

এ যুগে এমন ত্যাগী, নিবেদিতা স্ত্রী  কতজন আছে?

৪। কিন্তু এরকম ত্যাগ কি শুধু গরীবরা করবে?  বা শুধু নারীরা করবে?

  কোন পুরুষ কি এমন কোন সবদিক থেকে প্রতিবন্ধী কোন কুৎসিত মেয়েকে এভাবে আপন করে নিবে?  এমন উদাহরণ কি আছে?

Monday, January 15, 2018

যাহা বলিব সত্য বলিব-৮:৮ম শ্রেনীতেই পিকনিকে গিয়ে তারা পালিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে

আলম বর্তমানে ২১ বছর।ছোটকাল থেকেই সে স্কুলে যেতে চাইতো না,স্কুল ফাকি দিতো,শাসন মানতো না।তার বাবা তাকে ভালো পথে আনার অনেক চেষ্টা করেছে,কিন্তু সক্ষম হননি।কাছাকাছি এক চাচা সম্পর্কের লোক নেশা করতো।নিষেধ সত্বেও তার মেলামেশা ঐ লোকের সঙ্গেই।

৭-৮ বছর বয়সেই সে সিগারেট ধরা শুরু করে।বাবা এটি দেখে মার দেয় ও ঐ লোকের সঙ্গে মিশতে মানা করে।কিন্তু সে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ  থাকে ও গাজাসহ অন্যান্য নেশায় জড়িয়ে পড়ে।নেশাখোর রা যা করে যথারীতি সেও তেমনি এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম শুরু করে।

৮ম শ্রেনীতে পড়ার সময় স্কুল থেকে তারা সকল ছাত্র ছাত্রী ও  শিক্ষক সহ কক্সবাজার পিকনিকে যায়।ফেরার সময় সে ও তার প্রেমিকা বুদ্ধি করে লুকিয়ে সেখানে রয়ে যায়।পরে শিক্ষকদের ফোন দিয়ে মিথ্যে করে বলে হারিয়ে গিয়েছিল, কালকেই তারা ফিরে আসবে।

সে  ঐ মেয়েকে নিয়ে এক হোটেলে থাকে ও  তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।

তবে ওখান থেকে ফেরত এসেই সে ঐ মেয়েকে এড়িয়ে চলে,সম্পর্ক রাখতে চায় না।ঐ মেয়ে মরিয়া হয়ে সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু সে পাত্তা দেয় না।ফলে মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে।মেয়ের এমন অবস্হা দেখে তার ভাই আলমকে তাকে বিয়ে করতে বলে।এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।এসময়ে আলমের চাচার লাশ পাওয়া যায় ঐ মেয়ের বাসার পাশে।আলম মনে করে হয়তো মেয়ের ভাই তার চাচাকে মেরেছে।

তাই সে ঐ লোককে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।ফুসলিয়ে সে দুই বন্ধুকে নেয় এ বলো যে ঐ ছেলেকে শায়েস্তা করতে হবে।কিন্তু সে ছুরি নিয়ে যায় ও সেখানে গিয়ে বন্ধুদের হুমকি দেয় ঐ ছেলেকে ছুরির আঘাতে মেরে ফেলতে,নাহলে সে তাদেরকেই মেরে ফেলবে।এভাবে তারা ঐ ছেলেকে সেখানে মেরে ফেলে।খুনের পর এলাকায় হুলস্হুুল শুরু হয়।তাই তারা ৩ জন পালিয়ে ঢাকা চলে আসে।

ঢাকায় এসেও আলম আরেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে এবং যথারীতি তার সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক স্হাপন করে।এবারো সে ঐ মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে অন্যত্র চলে যায়।সেখানেও সে আরেক মেয়ের সঙ্গে একই বদকাজ করে।
কয়েক বছর পর সে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে ও তিন বছর পর তাকে বিয়ে করে।

কেন আগে এমন করেছে জানতে চাইলে সে বলে আগের মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হওয়াতে তাদের বিয়ে করতে তার মন চায়নি।এ মেয়ে তাকে সেরকম সুযোগ দেয়নি।তাই তার প্রতি আকর্ষণ থেকে যায়।তবে এখন তার পূর্বেকার অপকর্মের জন্য অনুতাপ হয় ও তার জন্য মাফ চায়।

আমার সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণ :

১। আমাদের  নৈতিক অধপতন কোন জায়গায় পৌচেছে যে স্কুলগামী ছেলে মেয়েরা শুধু প্রেম করছে না,তারা অবলীলায় শারীরিক সম্পর্ক ও করছে?

২। অপরাধী স্বভাব ছোটকাল থেকেই টের পাওয়া যায়।আলম অতি ছোটকাল থেকেই স্কুল পালানো,শাসন না মানা,বদ সঙ্গ পছন্দ করা,সিগারেট, গাজার নেশায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।

৩। জিন ও ব্যক্তিত্বের ভিতর যার থাকে অপরাধের বীজ,  সে স্বভাবগতভাবে নিজ থেকেই অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ে। - ৮ম শ্রেনীর একজন ছাত্র এতো বন্ধু- বান্ধব সঙ্গে থাকা সত্বেও, মুরুব্বি হিসেবে শিক্ষক গন থাকা সত্বে ও সে চালবাজি করে তার তথাকথিত প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে থাকে।উদ্দেশ্য নস্টামি করা,মেয়েটিকে ভোগ করা।

৪। জাত অপরাধীরা একের পর এক অনায়াসে অপরাধ করেই যায়।আলম ঐ অল্প বয়সেই বন্ধুদের ব্ল্যাক মেইল করে,হুমকি দিয়ে তার সহযোগী বানায় এবং কৈশোর বয়সেই খুনের মতন ভয়ানক অপরাধ করে ফেলে।এর পর ও সে আরো দুটি মেয়ের সর্বনাশ করেছে।

৫। মেয়েদের জন্য শিক্ষনীয়-
ছেলেরা নিজেরা নস্টামি করবে মেয়েদের সঙ্গে, কিন্তু বিয়ের বেলায় ঐ নষ্ট,বদ ছেলেটিই চায় নিষ্পাপ, কলঙ্কমুক্ত কোন এক মেয়েকে।এটি শুধু এক আলমের চরিত্র স্বভাব নয়,এটি বেশীরভাগ ছেলে ও পুরুষের খাসলত।

অতএব মেয়েকুল - সাবধান: কোন প্ররোচনা, প্রলোভন বা লোভের বশবর্তী হয়ে নিজকে এমন ছেলে/ পুরুষের কাছে বিলিয়ে দিবে না

Thursday, January 11, 2018

সাইকোলজিক্যাল টিপস-৩৮: সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ গুলো

১ থেকে ১০ অক্ষরের এমন দশটি ইংরেজি  শব্দ আছে যার অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য্যপূর্ন:

১।  I- সবচেয়ে স্বার্থপর শব্দ :এটি এড়িয়ে চলুন

২। we- সবচেয়ে সন্তোষজনক শব্দ :এটি বেশী
ব্যবহার করুন

৩। ego- সবচেয়ে বিষাক্ত  জিনিস : একে নিজ আয়ত্বে আনুন

৪। love- সবচেয়ে ব্যবহৃত শব্দ : একে মূল্য দিন

৫। smile- সবচেয়ে প্রীতিপ্রদ  ব্যাপার : এটি ধরে রাখুন

৬। rumour- সবচেয়ে দ্রত ছড়ায় যায়: একে উপেক্ষা করুন

৭। success- সবচেয়ে কঠোর শ্রম লাগে যাতে : এটি অর্জন করুন

৮। jealousy- সবচেয়ে ঈর্ষা  থাকে যাতে: এ থেকে দূরে থাকুন

৯। knowledge- সবচেয়ে বেশী  ক্ষমতা যার: এর অধিকারী হোন

১০। friendship - সবচেয়ে মূল্য দেওয়া হয় যাতে: এটি বজায় রাখুন

Sunday, January 7, 2018

সাইকোলজিক্যাল টিপস-৩৭

বাস্তব জীবন অভিজ্ঞতা থেকে যে  সবক নিতে পারি:
কোন পরিস্হিতি বা ঘটনা অসহনীয়, কঠিন,পীড়াদায়ক   মনে হলে কি করেন?  ভেঙ্গে পড়েন,হালছেড়ে দেন,নেতিয়ে পড়েন?
তা না করে কিভাবে সটান হয়ে দাড়াবেন,ঘুরে দাড়াবেন?
এরকম পরিস্হিতি হলে আমরা তিন ভাবে এগুলো দেখতে পারি:

প্রথমত এগুলো ফুৎকার উড়িয়ে দিতে পারি,হাওয়ায় মিশিয়ে দিতে পারি মনকে এ বলে যে " বাদ দাও"- যা হবার হয়েছে লিভ ইট।

তবে যদি তাৎক্ষনিক ভাবে উড়িয়ে দিতে বা বাদ দিতে না পারেন

তাহলে এটিকে "সহজ ভাবে " নিন।কঠিন,ভয়াবহ,জগন্য,কষ্টদায়ক মনে না করে এসব স্বাভাবিক, সহনীয় মনে করুন।

বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে নিন, সিরিয়াস ভাবে  নেওয়ার প্রবনতা কমিয়ে আনুন

কিন্তু যদি সহজভাবে নেওয়ার মতন না হয় বা সহজভাবে নিতে না পারেন 

তাহলে একে মন্দের ভালো হিসেবে দেখুন,ভাবুন পরিস্হিতি এরচেয়ে ও খারাপ হতে পারতো,

আরো খারাপ বা ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারতো ( ভাবুন অন্তত কোনভাবে হলেও আল্লাহ বাচিয়ে তো রেখেছে - আলহামদুলিল্লাহ )

তাই যে কোন পরিস্হিতি কঠিন মনে হলে নিজকে স্মরন করিয়ে দিন-

১। ( এ সব) বাদ দাও(leave it)

২। ( একে) সহজভাবে নাও ( take it easy)

অথবা

৩। পরিস্হিতি আরো খারাপ হতে পারতো ( things could be much worse)

Friday, January 5, 2018

সাইকোলজিক্যাল টিপস-৩৬: চীনা নারীদের পা বেধে রাখার নিষ্ঠুর প্রথা ও কৃষ্ণ করলে হোলি খেলা,আমরা করলে লীলাখেলা

আগামী একুশে বইমেলায় "এশিয়া পাবলিকেশন্স" থেকে আমার প্রকাশিতব্য ভ্রমন বিষয়ক বই " মিসরের পিড়ামিড থেকে চীনের প্রাচীর " এর কিংয়দশ তুলে দিচ্ছি :
১।
চীনদেশে একটি কুপ্রথা ছিল সৌন্দর্য্যের নামে নারীদের পা বেধে রাখা।প্রায় হাজার বছর এ নিষ্ঠুর প্রথা চালু ছিল( যেমন ভারতে ছিল সতীদাহ প্রথা) ।

এই জগন্য প্রথা শুরু হয় শাং শাসন আমল থেকে।কথিত আছে এক শাং সম্রাজ্ঞীর পা কৃশ ও বিকৃত ছিল।তারই আদেশে নাকি চীনা নারীদের পা বাধার প্রচলন শুরু হয়,যাতে সম্রাজ্ঞীর পা এর খুত নিয়ে কোন কানাঘুষা না হয়।

নারীদের পা বাধা শুরু হতো ৬ বছর বয়স থেকে।এটা শুরু হতো শরতের শেষ বা শীতকালে যখন পা কিছুটা অবশ থাকতো ও বাধলে ব্যথা কম পেতো।একটি শুভ দিন ধরে পা ধুয়ে, নখ কেটে প্রস্ততি নেওয়া হতো।তারপর বেশ করে ফিটকিরির পানি ছিটিয়ে পায়ের চারটি আঙ্গুল পায়ের তলার দিকে মুড়িয়ে সারা পা গোড়ালির সঙ্গে শক্ত করে বেধে দেওয়া হতো ২ ইন্চি চওড়া ও ১০ ফুট লম্বা কাপড় দিয়ে।

কয়েক সপ্তাহ পর ব্যান্ডেজ বদলে দেওয়া হতো।কেউ গোপনে টেনে ব্যান্ডেজ টেনে ঢিলা করার চেষ্টা করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হতো।

ব্যান্ডেজ খোলার পর প্রচুর ব্যথা হতো,রক্ত,পূজ পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তো।প্রথম দিকে পায়ের মাংস তেমন পচতো না।কিন্তু পরের দিকে অবস্থা ভয়াবহ হয়ে যেতো।তথাপি পরবর্তী ব্যান্ডেজ পড়ানো হতো।

প্রায় ৩ বছর লাগতো তাদের কাঙ্খিত ৩ ইন্চির পা পেতে।এই ৩ ইন্চির পাকে তারা স্বর্ণ পদ্ম বলতো।আর ২য় অবস্হানের নারী যাদের পা ৪ ইন্চির তাদের
  পা- কে রৌপ্য পদ্ম বলা হতো ( যেন ভারতীয় পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ জাতীয় পুরস্কার সমতুল্য?) ।

এই বাধা পা এর চলন ভঙ্গিকে তারা শৈল্পিক মনে করতো ও নাম দিতো পদ্ম- পদচারনা।স্বর্ন পদ্ম এর অধিকারিনীকে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখা হতো।ঐ সময়ের সাহিত্যে এদের নিয়ে বহু গুনকীর্তন করা হতো।

বহু আন্দোলন ও প্রচারনার পর এই অমানবিক, নিষ্ঠুর প্রথার অবসান ঘটে।

২। এক সময় চীনে একজনের সঙ্গে অপরের দেখা হলে জিজ্ঞেস করা হতো - চিল মা।অর্থাৎ তুমি কি খেয়েছো?  এখন নাকি জিজ্ঞেস করা হয় - লিল মা।অর্থাৎ তুমি কি তালাক প্রাপ্ত? ( আমাদের দেশেও তালাকের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে)।

চীনে পুরুষরা নাকি বলে " পারিবারিক জীবন এক,আর প্রেম সেতো আলাদা ব্যাপার "।

প্রেম ও বিবাহিত জীবনকে আলাদা করে শুধু বর্তমানের পুরুষরাই দেখে না,বিশ্ব শ্রেষ্ঠ প্রেমিক কৃষ্ণ ও এর বড় উদাহরণ ।

রাধা কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করে তুমি আমার সঙ্গে প্রেম করো,অথচ বিয়ে করেছো আরেকজনকে।আমাকে বিয়ে করোনি কেন? 

প্রেমের অবতার কৃষ্ণ বলেন " বিয়ে তো হয় দু'জনের মধ্যে।তুমি আমি তো একাকার "।

বুঝুন ঠ্যালা।ঝানু ও ধূর্ত প্রেমিকরা এভাবেই প্রেম ও বিয়েকে আলাদা করে রাখে ও বিয়ের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়।  আর কপাল পুড়ে মেয়েদের