আলম বর্তমানে ২১ বছর।ছোটকাল থেকেই সে স্কুলে যেতে চাইতো না,স্কুল ফাকি দিতো,শাসন মানতো না।তার বাবা তাকে ভালো পথে আনার অনেক চেষ্টা করেছে,কিন্তু সক্ষম হননি।কাছাকাছি এক চাচা সম্পর্কের লোক নেশা করতো।নিষেধ সত্বেও তার মেলামেশা ঐ লোকের সঙ্গেই।
৭-৮ বছর বয়সেই সে সিগারেট ধরা শুরু করে।বাবা এটি দেখে মার দেয় ও ঐ লোকের সঙ্গে মিশতে মানা করে।কিন্তু সে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকে ও গাজাসহ অন্যান্য নেশায় জড়িয়ে পড়ে।নেশাখোর রা যা করে যথারীতি সেও তেমনি এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম শুরু করে।
৮ম শ্রেনীতে পড়ার সময় স্কুল থেকে তারা সকল ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক সহ কক্সবাজার পিকনিকে যায়।ফেরার সময় সে ও তার প্রেমিকা বুদ্ধি করে লুকিয়ে সেখানে রয়ে যায়।পরে শিক্ষকদের ফোন দিয়ে মিথ্যে করে বলে হারিয়ে গিয়েছিল, কালকেই তারা ফিরে আসবে।
সে ঐ মেয়েকে নিয়ে এক হোটেলে থাকে ও তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।
তবে ওখান থেকে ফেরত এসেই সে ঐ মেয়েকে এড়িয়ে চলে,সম্পর্ক রাখতে চায় না।ঐ মেয়ে মরিয়া হয়ে সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু সে পাত্তা দেয় না।ফলে মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে।মেয়ের এমন অবস্হা দেখে তার ভাই আলমকে তাকে বিয়ে করতে বলে।এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।এসময়ে আলমের চাচার লাশ পাওয়া যায় ঐ মেয়ের বাসার পাশে।আলম মনে করে হয়তো মেয়ের ভাই তার চাচাকে মেরেছে।
তাই সে ঐ লোককে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।ফুসলিয়ে সে দুই বন্ধুকে নেয় এ বলো যে ঐ ছেলেকে শায়েস্তা করতে হবে।কিন্তু সে ছুরি নিয়ে যায় ও সেখানে গিয়ে বন্ধুদের হুমকি দেয় ঐ ছেলেকে ছুরির আঘাতে মেরে ফেলতে,নাহলে সে তাদেরকেই মেরে ফেলবে।এভাবে তারা ঐ ছেলেকে সেখানে মেরে ফেলে।খুনের পর এলাকায় হুলস্হুুল শুরু হয়।তাই তারা ৩ জন পালিয়ে ঢাকা চলে আসে।
ঢাকায় এসেও আলম আরেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে এবং যথারীতি তার সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক স্হাপন করে।এবারো সে ঐ মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে অন্যত্র চলে যায়।সেখানেও সে আরেক মেয়ের সঙ্গে একই বদকাজ করে।
কয়েক বছর পর সে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে ও তিন বছর পর তাকে বিয়ে করে।
কেন আগে এমন করেছে জানতে চাইলে সে বলে আগের মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হওয়াতে তাদের বিয়ে করতে তার মন চায়নি।এ মেয়ে তাকে সেরকম সুযোগ দেয়নি।তাই তার প্রতি আকর্ষণ থেকে যায়।তবে এখন তার পূর্বেকার অপকর্মের জন্য অনুতাপ হয় ও তার জন্য মাফ চায়।
আমার সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণ :
১। আমাদের নৈতিক অধপতন কোন জায়গায় পৌচেছে যে স্কুলগামী ছেলে মেয়েরা শুধু প্রেম করছে না,তারা অবলীলায় শারীরিক সম্পর্ক ও করছে?
২। অপরাধী স্বভাব ছোটকাল থেকেই টের পাওয়া যায়।আলম অতি ছোটকাল থেকেই স্কুল পালানো,শাসন না মানা,বদ সঙ্গ পছন্দ করা,সিগারেট, গাজার নেশায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।
৩। জিন ও ব্যক্তিত্বের ভিতর যার থাকে অপরাধের বীজ, সে স্বভাবগতভাবে নিজ থেকেই অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ে। - ৮ম শ্রেনীর একজন ছাত্র এতো বন্ধু- বান্ধব সঙ্গে থাকা সত্বেও, মুরুব্বি হিসেবে শিক্ষক গন থাকা সত্বে ও সে চালবাজি করে তার তথাকথিত প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে থাকে।উদ্দেশ্য নস্টামি করা,মেয়েটিকে ভোগ করা।
৪। জাত অপরাধীরা একের পর এক অনায়াসে অপরাধ করেই যায়।আলম ঐ অল্প বয়সেই বন্ধুদের ব্ল্যাক মেইল করে,হুমকি দিয়ে তার সহযোগী বানায় এবং কৈশোর বয়সেই খুনের মতন ভয়ানক অপরাধ করে ফেলে।এর পর ও সে আরো দুটি মেয়ের সর্বনাশ করেছে।
৫। মেয়েদের জন্য শিক্ষনীয়- 
ছেলেরা নিজেরা নস্টামি করবে মেয়েদের সঙ্গে, কিন্তু বিয়ের বেলায় ঐ নষ্ট,বদ ছেলেটিই চায় নিষ্পাপ, কলঙ্কমুক্ত কোন এক মেয়েকে।এটি শুধু এক আলমের চরিত্র স্বভাব নয়,এটি বেশীরভাগ ছেলে ও পুরুষের খাসলত।
অতএব মেয়েকুল - সাবধান: কোন প্ররোচনা, প্রলোভন বা লোভের বশবর্তী হয়ে নিজকে এমন ছেলে/ পুরুষের কাছে বিলিয়ে দিবে না
 
No comments:
Post a Comment