আগামী একুশে বইমেলায় "এশিয়া পাবলিকেশন্স" থেকে আমার প্রকাশিতব্য ভ্রমন বিষয়ক বই " মিসরের পিড়ামিড থেকে চীনের প্রাচীর " এর কিংয়দশ তুলে দিচ্ছি :
১।
চীনদেশে একটি কুপ্রথা ছিল সৌন্দর্য্যের নামে নারীদের পা বেধে রাখা।প্রায় হাজার বছর এ নিষ্ঠুর প্রথা চালু ছিল( যেমন ভারতে ছিল সতীদাহ প্রথা) ।
এই জগন্য প্রথা শুরু হয় শাং শাসন আমল থেকে।কথিত আছে এক শাং সম্রাজ্ঞীর পা কৃশ ও বিকৃত ছিল।তারই আদেশে নাকি চীনা নারীদের পা বাধার প্রচলন শুরু হয়,যাতে সম্রাজ্ঞীর পা এর খুত নিয়ে কোন কানাঘুষা না হয়।
নারীদের পা বাধা শুরু হতো ৬ বছর বয়স থেকে।এটা শুরু হতো শরতের শেষ বা শীতকালে যখন পা কিছুটা অবশ থাকতো ও বাধলে ব্যথা কম পেতো।একটি শুভ দিন ধরে পা ধুয়ে, নখ কেটে প্রস্ততি নেওয়া হতো।তারপর বেশ করে ফিটকিরির পানি ছিটিয়ে পায়ের চারটি আঙ্গুল পায়ের তলার দিকে মুড়িয়ে সারা পা গোড়ালির সঙ্গে শক্ত করে বেধে দেওয়া হতো ২ ইন্চি চওড়া ও ১০ ফুট লম্বা কাপড় দিয়ে।
কয়েক সপ্তাহ পর ব্যান্ডেজ বদলে দেওয়া হতো।কেউ গোপনে টেনে ব্যান্ডেজ টেনে ঢিলা করার চেষ্টা করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হতো।
ব্যান্ডেজ খোলার পর প্রচুর ব্যথা হতো,রক্ত,পূজ পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তো।প্রথম দিকে পায়ের মাংস তেমন পচতো না।কিন্তু পরের দিকে অবস্থা ভয়াবহ হয়ে যেতো।তথাপি পরবর্তী ব্যান্ডেজ পড়ানো হতো।
প্রায় ৩ বছর লাগতো তাদের কাঙ্খিত ৩ ইন্চির পা পেতে।এই ৩ ইন্চির পাকে তারা স্বর্ণ পদ্ম বলতো।আর ২য় অবস্হানের নারী যাদের পা ৪ ইন্চির তাদের
পা- কে রৌপ্য পদ্ম বলা হতো ( যেন ভারতীয় পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ জাতীয় পুরস্কার সমতুল্য?) ।
এই বাধা পা এর চলন ভঙ্গিকে তারা শৈল্পিক মনে করতো ও নাম দিতো পদ্ম- পদচারনা।স্বর্ন পদ্ম এর অধিকারিনীকে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখা হতো।ঐ সময়ের সাহিত্যে এদের নিয়ে বহু গুনকীর্তন করা হতো।
বহু আন্দোলন ও প্রচারনার পর এই অমানবিক, নিষ্ঠুর প্রথার অবসান ঘটে।
২। এক সময় চীনে একজনের সঙ্গে অপরের দেখা হলে জিজ্ঞেস করা হতো - চিল মা।অর্থাৎ তুমি কি খেয়েছো? এখন নাকি জিজ্ঞেস করা হয় - লিল মা।অর্থাৎ তুমি কি তালাক প্রাপ্ত? ( আমাদের দেশেও তালাকের হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে)।
চীনে পুরুষরা নাকি বলে " পারিবারিক জীবন এক,আর প্রেম সেতো আলাদা ব্যাপার "।
প্রেম ও বিবাহিত জীবনকে আলাদা করে শুধু বর্তমানের পুরুষরাই দেখে না,বিশ্ব শ্রেষ্ঠ প্রেমিক কৃষ্ণ ও এর বড় উদাহরণ ।
রাধা কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করে তুমি আমার সঙ্গে প্রেম করো,অথচ বিয়ে করেছো আরেকজনকে।আমাকে বিয়ে করোনি কেন?
প্রেমের অবতার কৃষ্ণ বলেন " বিয়ে তো হয় দু'জনের মধ্যে।তুমি আমি তো একাকার "।
বুঝুন ঠ্যালা।ঝানু ও ধূর্ত প্রেমিকরা এভাবেই প্রেম ও বিয়েকে আলাদা করে রাখে ও বিয়ের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। আর কপাল পুড়ে মেয়েদের
No comments:
Post a Comment