জিলম্যান বলেন "যখন আমাদের শরীর মন উত্তেজনার খাদের কিনারে দাড়িয়ে থাকে, তখন পরবর্তী নেতিবাচক আবেগ হয় আরো তীব্র মাত্রায়।একের পর এক উক্তত্যকরন ঘটতে থাকলে রাগ-ক্রোধ ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে। "
পরবর্তী প্রতিটি উক্তত্যকরন চিন্তা এমাগডেলা তাড়িত " ক্যাটেকোলামাইন" এর উত্তাল তরঙ্গের প্রবাহ তৈরিতে, উসকে দেওয়ার ঘটনা হিসেবে কাজ করে। এর প্রতিটি পূর্ববর্তীটির ভরবেগ বাড়িয়ে দেয়।
প্রথম উক্তত্যকরন শেষ হওয়ার পূর্বেই (তা দাম্পত্য জীবন,পরিবার,কর্মক্ষেত্র,সমাজ যে জায়গায়ই ঘটুক না) দ্বিতীয়টি চলে আসে,তৃতীয়টি আসে এর উপরেই।এই প্রতিটি ঢেউ, এর পূর্বেকার ঢেউ এর লেজের উপর চড়াও হয়।ফলে শারীরবৃত্তীয় সজাগতা,সক্রিয়তা দুরুত ধাপে ধাপে বেড়ে যায়।
এভাবে রাগ তৈরি হয় রাগের উপরে।তাই আবেগীয় ব্রেইন ক্রমাগত উত্তপ্ত হতে থাকে ও এক সময় সে ক্রোধ আগ্নেয়গিরির মতন বিস্ফোরিত হয়।
এ পর্যায়ে মানুষ ক্ষমা করতে ও ভুলে যায় ও যেকোন যুক্তির উর্ধ্বে উঠে যায়। তাদের চিন্তা কেবল ক্রোধ ও প্রতিশোধ নেওয়া নিয়ে ঘুরতে থাকে। তারা এসবের কি পরিনতি হবে সে নিয়ে ও অচেতন থাকে।
উত্তেজনার এই চূড়ান্ত পর্যায়ে তারা নিজের ক্ষমতা ও অনাক্রম্যতা নিয়ে এক মোহগ্রস্ত অবস্থায় থাকে। যা তাদেরকে ভয়ংকর সহিংস কাজে অনুপ্রাণিত করে। লিম্বিক ব্রেইনের তাড়না যত ধাপে ধাপে ক্রম বর্দ্ধিত হতে থাকে, বর্বরতা তত নির্মম রূপ ধারন করে। ফলে অনায়াসে তারা হত্যা খুন করে ফেলে এবং তা করতে পারে বিভ্যৎস, নিষ্ঠুর উপায়ে।
No comments:
Post a Comment