পর্ব-৩ঃ
(পূর্বে আলোচিত রাগ রেখে অনুরাগে এলাম।আসন্ন বইমেলায় আমার প্রকাশিতব্য বই "আবেগীয় বুদ্ধিমত্তাঃসাফল্যের মূল চাবিকাঠি " -থেকে বাছাইকৃত কিছু অংশ)
আশা- পার্থক্য তৈরি করে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাস এর মনোবিজ্ঞানী সি আর স্নাইডার গবেষণা করে দেখেছেন, একই মানের যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশাবাদের পার্থক্য তাদের ফলাফলেও পার্থক্য তৈরি করে।
তার মতে যে শিক্ষার্থীদের উচ্চ আশাবাদ থাকে, তারা লক্ষ্যকেও উচ্চ অবস্থানে রাখে এবং তারা জানে কোন ধরনের কঠোর পরিশ্রম দ্বারা সে উচ্চতর লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
গ্রীক দেবী প্যান্ডোরাকে তার রূপে ঈর্ষাকাতর কিছু দেবতা তাকে একটি ম্যাজিক বক্স উপহার দেন।তবে তাকে বলা হয়েছিল যেন কখনো বাক্সের ঢাকনা না খুলেন।
কিন্তু একদিন কৌতুহল বসে ও তাড়না চেপে রাখতে না পেরে তিনি বাক্সের ঢাকনা খুলে ফেলেন।
এর ফাঁকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে -রোগব্যাধি, অসুস্থতা,অস্হিরতা, পাগলামি।
কিন্তু এক দয়াবতী দেবী দুরুত সে বাক্স বন্ধ করে দেন।ফলে একটি মূল্যবান "প্রতিষেধক " বাক্সে থেকে যায়।
সেটাই হচ্ছে -"আশা" -যা জীবনের সকল দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, ব্যর্থতা, হতাশার পরেও মানব জীবনে টিকে থাকে, তাকে নতুন পথ,নতুন জীবনের আলো দেখায়।
আধুনিক গবেষকরা দেখেছেন উৎপীড়িত,পরাজিত মানুষকে প্রবোধ, সান্ত্বনা দেওয়ার চেয়ে তাদের মধ্যে "আশার " সন্চার করতে পারলে সেটি অধিক ভালো কাজ দেয়।
জীবনের প্রতিটি দুঃসহ, দুরুহ সময়ে এটা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে থাকে।
আশাবাদীদের বৈশিষ্ট্য ঃ তারা নিজেদেরকে প্রণোদনা দিতে, মটিভেট করতে পারেন;
লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে বলে মনে করেন ;
কঠিন, দুরুহ সময়ে ও তারা পুনঃ পুনঃ নিজেদের আশ্বস্ত করতে পারেন ;
লক্ষ্য অর্জনে প্রচলিত পন্থায় কাজ না হলে বিকল্প পথ বের করে নেন;
লক্ষ্য অর্জন কোনভাবেই সম্ভব মনে না হলে তারা লক্ষ্য বদল করেন;
এবং কঠিন কাজকে ছোট ছোট ও ম্যানেজ করা সম্ভব তেমন খন্ডাংশে ভাগ করে নেন।
এক কথায় আশাবাদ হচ্ছে -হতাশা, ব্যর্থতা, বিপর্যয় থাকা সত্বেও, সাধারনভাবে জীবনে এক সময়ে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এই প্রত্যয়,এই বিশ্বাস।
পর্ব-৪ঃআগামীকাল)
No comments:
Post a Comment