পর্ব-২:
( পর্ব-১ পুনরায় দেখে নিন)
৪।" টক্সিক" মানুষদের টিটকারি, অপমান,অবজ্ঞা, শ্লেষ মেনে নিয়ে জীবন যাপন করছেন? এই টক্সিক বা বিষাক্ত মানুষ গুলো থাকতে পারে আপনার কর্মস্হলে,সামাজিক জীবনে কিংবা পরিবারেও।এদেরকে সহ্য করে যাওয়া,এদেরকে " বাতিল" করে দিতে না পারা মানে আপনি ভীত, শঙ্কিত এই ভেবে যে এদের ঘাটলে,ক্ষেপালে আপনি একাকী হয়ে পড়বেন,আরো আক্রমন,প্রতিহিংসার সম্মুখীন হবেন।একটি স্বাধীন,মুক্ত,উন্নত মস্তক নিয়ে আত্ম মর্যাদাশীল, সম্মানিত জীবন বাদ দিয়ে ঐ দূর্বৃত্ত,বিষাক্ত কীটদের ছোবল খেয়েও তাদের সঙ্গে আপোষ করে,মাথা নত করে,হীন,মর্যাদাহীন জীবন যাপন বেছে নেওয়া মানে ন্যুনতম আত্ম মর্যাদা না থাকা।এখন সিদ্ধান্ত আপনার
৫। আপনি সব সময় প্রোডাক্টিভ কিছু করার তাড়নায় থাকেন? বিশ্রাম, বিনোদনে সময় ব্যয় করলে নিজকে অপরাধী মনে হয়, লজ্জা অনুভব করেন? নিজকে অকাজের মনে হয়? তার মানে বসকে তুষ্ট করতে,কলিগদের টেক্কা দিয়ে নিজে অনেক দায়িত্ববান, কাজের লোক প্রমান করার তাগিদ আপনার বেশী। অবশ্য নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় বিশ্ামর,বিনোদন বাদ রেখে নয়।( কোন প্রতিষ্ঠান ই আপনার একার উপর নির্ভরশীল নয়।নিজকে অপরিহার্য প্রমান করে সাময়িক সুবিধা পাবেন কিন্তু হারাবেন নিজের মতন,মুক্ত,আত্ম মর্যাদাশীল জীবন। এটি অন্তর্গত মানসিক দারিদ্রতা মাত্র। কেউ আছেন পরিবারে অশান্তি তাই অফিসেই সারাক্ষণ থাকি,কলিগরা দায়িত্বহীন, অকাজের,আমি ছাড়া প্রতিষ্ঠান অচল ইত্যাদি কারনে দিনরাত কাজ পাগল হয়ে থাকেন।মনে রাখবেন প্রোডাক্টিভ মানুষের চেয়ে সমাজে সৃজনশীল মানুষ বেশী দরকার।
৬। অতীতে যা ঘটে গেছে তা সহজে ভুলতে পারেন না? অতীত আপনাকে বিষন্ন,হতাশ,হেয়,ছোট করে রাখে? পীড়ন,যন্ত্রনা,অপমান,ব্যর্থতা কোন কিছুই ভুলতে পারছেন না? তার মানে অন্যদের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কে কি বলেছে,করেছে সে ক্ষেদ,ক্ষোভ মন থেকে মুছতে পারছেন না এই জন্য যে আপনি তাদেরকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন।আত্ম মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ নিজের চেয়ে অন্যকে এতো প্রাধান্য দেয় না।তারা তাদেরকে এতো গুরুত্বপূর্ণ ভাবে না যে তাদের কথা,মন্তব্য, আচরন তাকে দিনের পর দিন কষ্ট দিয়ে যাবে
(৩য় পর্ব,- আগামীকাল)
Saturday, May 27, 2017
সাইকোলজিক্যাল টিপস-৩১: আপনি কতটুকু আত্ম মর্যাদাশীল
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment