শিশু নির্যাতনের ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা মনে হচ্ছে কমার পরিবর্তে দিন দিন বাড়ছে।
২১ জুলাই একটি প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকায় কথিত মোবাইল চুরির অভিযোগে এক শিশুকে
হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর সংবাদ প্রকাশিত হয়।
রিপোর্টে বলা হয় নির্যাতিত শুভ একজন এতিম,নানার কাছে থাকে।নানা তাকে কাজের জন্য বকাবকি করলে সে ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসে।টাকা পয়সা না থাকাতে কিছুই তার খাওয়া হয় না।পরে সে হাসপাতালে যায় ও এক রোগীনির মোবাইল চুরির অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
তার হাত পা বেধে হাতড়ি দিয়ে পেটানো হয়।এরপর চিকিৎসা না দিয়ে বরং তাকে লাশ রাখার হিম ঘরে বন্ধি করে রাখা হয়।
দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হলে অর্থ মন্ত্রী বলেন এতো সামান্য টাকা।লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হলেও রাঘব বোয়ালদের টিকিটিও স্পর্শ করা হয় না।তবে কপর্দক হীন এক শিশু নিতান্ত বেচে থাকার জন্য খাবার কেনার টাকা জোগাড় করতে বাধ্য হয়ে চুরি করলে ( যদি আদৌ করে থাকে) তাকে হাত পা বেধে হাতুড়ী দিয়ে পেটানোর মতন নিষ্ঠুর শাস্তি দিতে আমাদের বিবেকে বিন্দু মাত্র বাধে না।
দুচারটি থাপ্পড় দিয়ে যে কাজ সারা যায় আমরা সেখানে হাতুড়ি দিয়ে পিটাই,কাউকে পায়ু পথে বাতাস ঢুকিয়ে মেরে ফেলি বা নির্যাতন করে ডাস্টবিনে ফেলে রাখি।এমন নিষ্ঠুর, বিকৃত আচরন কেন? আমাদের মনোজগতে কি বর্বতার পুন: প্রবেশ ঘটছে? আমরা কি মানবিকতা বোধ হারিয়ে ফেলছি?
এসব প্রশ্নের উত্তর সমাজ বিজ্ঞানী,মনোবিজ্ঞানীদের বের করতে হবে।
যে সমাজ শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়,যে সমাজ দুর্বলকে রক্ষা করতে পারে না বুঝতে হবে সে সমাজ অধপাতে যাচ্ছে।
এ অধপতন ও মনো বিকৃতি রুখতে হলে সামাজিক সচেতনতার সহিত, পারিবারিক মূল্য বোধ,ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা সবাইকে দিতে হবে।অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও নিশ্চিত করতে হবে।সুকান্তের ভাষায় - এ পৃথিবীকে করে যাবো শিশুর জন্য বাসযোগ্য
No comments:
Post a Comment