২৫ জুলাই দেশের প্রথম সারির এক দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় গোপাল গন্জ শহরের পাবলিক হল রোডের এক স্কুল ছাত্রীকে ঈভ টিজিং এর প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবা কাজী মাহবুবকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করে একদল বখাটে।গোপাল গন্জ সরকারি বীনাপানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ঐ ছাত্রীকে আকাশ নামে এক বখাটে ছেলে উত্ত্যক্ত করতো।মেয়েটির বাবা আকাশকে কয়েকবার নিষেধ করা সত্বেও তার দূর্বৃত্তপনা থেমে থাকেনি।তাই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আকাশকে আটকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়
১৫ জুলাই রাতে বাসার সামনে আকাশ ও তার কয়েক সঙ্গী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
আকাশরা কেন অপরাধী, বর্বর হয়ে উঠে? পরিবার,সমাজ,রাস্ট্রের কি কিছুই করনীয় নাই? দিনের পর দিন আকাশ মেয়েটিকে প্রকাশ্য রাস্তায় হয়রানি,উক্তত্য করতো।তার সম বয়সী বন্ধুরা কি কোন ভূমিকা রাখতে পারতো না? আশেপাশে সমাজের অনেকেই তা প্রত্যক্ষ করতো তাদের কেউ কি কোন প্রতিবাদ করেছে? তার মানে সমাজ তার নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।এক সময় আমাদের মুরুব্বীরা এলাকার যুবকদের উপর নজরদারী রাখতো,প্রয়োজনে শাসন করতো।এখন তারা ভয় পায়,মান সম্মান হারানোর ভয়।শুধু মান সম্মান কেন জীবনও হারতে হতে পারে।তার জলজ্যান্ত প্রমান তো এই যে মেয়েটির বাবা প্রতিবাদ করাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো।এরপর আর কেউ কি সাহস করে এগিয়ে আসবে?
যদি অপরাধীকে তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তার করা না হয়,দ্রত বিচার করে প্রকাশ্যে শাস্তি না দেওয়া হয় সামাজিক প্রতিরোধে কেউ এগিয়ে আসতে সাহস করবে না।অন্য দিকে আকাশের মা বাবা কি জানতো না তাদের সোনার(?) ছেলের এসব কীর্তিকলাপ? তারা কি কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল? আমার মতে সন্তানদের এরকম অপকর্ম,অপরাধের দায়ভার তাদের পরিবারকে বহন করতে হবে।এলাকার মুরুব্বীরা তাদেরকে এই চাপ দিতে পারে অথবা পুলিশ প্রশাসন তাদের বাধ্য করতে পারে ছেলেকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
Wednesday, July 26, 2017
ঈভ টিজিং চলছেই- দায় কার
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment