মহা বিশ্ব ব্যাখ্যায় দুটি কার্যকর তত্ব রয়েছে -আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ব ও কোয়ান্টাম তত্ব।
প্রথমটি প্রযোজ্য বৃহত জগতে, দ্বিতীয়টি খাটে ক্ষুদ্রতর জগতে। এই দুই তত্বের সম্মিলন ঘটাতে পারলে মহাবিশ্বের তাবুৎ কিছু ব্যাখ্যা করা যেতো। কিন্তু শত চেষ্টা সত্যেও সে সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি।
কোয়ান্টাম জগৎ বড় বিস্ময়কর। যতসব অদ্ভুত সব কান্ড সেখানে ঘটতে দেখা যায়।
শুধু তাই নয় অবিশ্বাস্য ও পরস্পর বিরোধী অনেক উদ্ভট বিষয় ঘটতে দেখা যায়।
যেমন ঃ
১। এতে বলা হয় কনা শুধু কনা নয়,এগুলো একই সঙ্গে তরঙ্গ ও।
২। শুন্য স্হান একেবারে শুন্য নয়,সেখানে লুকিয়ে আছে বল ক্ষেত্র।
৩। প্রতিটি বলের জন্য ( মহাবিশ্বে ৪টি মৌলিক বল রয়েছে) রয়েছে আলাদা আলাদা ক্ষেত্র। তেমনি প্রতিটি কনার(কোয়ার্ক, ইলেকট্রন) জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা ক্ষেত্র
৪। এই কোয়ান্টাম ক্ষেত্র গুলো আবার স্হির নয়,এগুলো কম্পনশীল।
৫। ক্ষেত্র গুলোর বিভিন্ন মাত্রার কম্পন জন্ম দেয় একেকটি কনার
৬। প্রতিটি ক্ষেত্রের বিস্তার গোটা মহাবিশ্বের স্থান-কাল জুড়ে
৭। যেমন পুরো মহাবিশ্ব জুড়েই রয়েছে অদৃশ্য ইলেকট্রন ক্ষেত্র।এই ক্ষেত্রের বিশেষ কম্পন হলো একেকটি ইলেকট্রন। তেমনি বিদ্যুৎ চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বিশেষ কম্পন তৈরি করে ফোটন(আলোর কনা)।
৮। স্হান কালের প্রতিটি বিন্দুতে রয়েছে ক্ষেত্র গুলোর নির্দিষ্ট মান।এই মান ঠিক করে দেয়,ঐ ক্ষেত্র থেকে জন্ম নেওয়া কনাদের ধর্ম কি হবে
৯। কোয়ান্টাম তত্ব দাড়িয়ে আছে "অনিশ্চয়তা তত্ব" (থিওরী অব আনসারটেন্টি) এর উপর। এই অনিশ্চয়তা তত্ত্ব বলে
১০। কনা একই সঙ্গে কনা ও তরঙ্গ হলেও আপনি চাইলে ও একই সঙ্গে তা দেখতে পারবেন না
।যখন কনার তরঙ্গ ধর্ম মাপবেন তখন তরঙ্গই পাবেন, কনা হিসেবে পাবেন না।আবার কনা মাপতে গেলে কনা পাবেন, তরঙ্গের দেখা পাবেন না।
১১। আরো বিস্ময়কর - এই তত্ত্ব বলে আপনি যখন কনাদের খোঁজ নিচ্ছেন না,তখন তাদের কোন অস্তিত্বই থাকে না।এগুলো "নাই " হয়ে যায়।
একথা শুনে আইনস্টাইন ক্ষেপে গিয়ে বলেন, তার মানে আমরা চাঁদের দিকে না তাকালে চাঁদ কি আকাশে থাকে না?
আইনস্টাইন নিজে ছিলেন কোয়ান্টাম তত্বের প্রথম দিকের একজন প্রবক্তা । অথচ এই তত্ত্বের উদ্ভট সব ভবিষ্যতবানী দেখে তিনি বলেন "ঈশ্বর পাশা খেলেন না"।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যত অদ্ভুত ও অবিশ্বাস্য হোক, কোয়ান্টাম তত্বের বেশির ভাগই প্রমানিত সত্য। তবে সেগুলো শুধু খাটে কনা জগতের ক্ষুদ্র সীমানায়,বৃহত ক্ষেত্রে নয়।
১২। কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি বলে আমরা যখন কোয়ান্টাম ফিল্ড পর্যবেক্ষণ করি,তখনই কনাদের আবির্ভাব হয়।পর্যবেক্ষণ যখন করি না,তখন তখন তাদের কোন অস্তিত্ব থাকে না।
১৩। তার মানে কনারা হলো অলীক,যখন আমরা এদের দেখতে চাই, তখনই তারা দেখা দেয়,তানাহলে এদের কোন অস্তিত্বই নাই।
**কি আজব কথা -
এজন্যই কি অনেক তাত্ত্বিক বলেন - মহাবিশ্ব শুধু একটি মানসিক প্রপঞ্চ, বাস্তব নয়।
তাহলে কি মরমি বাদের কথাই সত্যি?
এ জগত শুধুই মায়া(ইলুশন) -আর কিছু নয়
No comments:
Post a Comment