(সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে আমার মূল যে কাজ, সাইকোলজিক্যাল টিপস -বহুদিন হলো তা দিতে পারিনি। এ জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত)
ফাঁদে আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগকে "আবেগের মালপত্র " ও বলা যায়।আমরা অনেকে মনে করি এসব আবেগীয় মালপত্র হচ্ছে, জীবনে আবেগীয় ভাবে আঘাত গুলোর স্মৃতি মাত্র। কিন্তু এগুলো এরচেয়ে বেশি কিছু।
কেননা এগুলো খুব ধীরে ধীরে (স্লো পয়জনিং এর মতন), গোপনে, আমাদের অজান্তে আমাদের শরীর ও মনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে।
আমাদের প্রত্যেকের কিছু না কিছু বেদনাদায়ক ও পীড়াদায়ক জীবন অভিজ্ঞতার স্মৃতি রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগ অবচেতন মনের ফাঁদে আটকে পড়ে।
আমরা তখন এগুলো নিয়ে সচেতন থাকি না।অথচ এগুলো আমাদের স্বাস্থ্য, সম্পর্ক,সুখ, সফলতা সহ বহু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আমরা অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের প্রকৃত সফলতা, ইচ্ছা ও প্রাচুর্যকে নিজেরাই সাবোটাইজ করে রাখি।
তবে শুভ সংবাদ হচ্ছে এই আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ আমরা অবমুক্ত করতে পারি ও এভাবে এর ক্ষতিকর প্রভাব এড়িয়ে যেতে পারি।
কি রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে?
আমাদের দৈহিক প্রায় সকল সমস্যা ও রোগের পিছনে মূল কারণ বা সহযোগী কারণ হচ্ছে অবচেতনে আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ। ফলে শারীরিক সমস্যা, রোগ বা ব্যথা সবই হতে পারে।
এছাড়া সম্পর্কে জটিলতা, কর্মক্ষেত্রে অক্ষমতা ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে।আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ ও স্মৃতি একইরকম ঘটনাকে ঢেকে আনতে পারে।
এই আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ কিন্তু হারিয়ে যায় না। এগুলো অবচেতনে সক্রিয় থাকে, সুপ্ত শক্তি হিসেবে থাকে। এগুলো নীরবে আমাদের সফলতার পথ রুদ্ধ করে রাখে।
আরো মনে রাখতে হবে যদি এই আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ নিঃসরন করতে না পারি, জীবন জগতের উত্তরনের যে অগ্রযাত্রা, আমরা এই পথের শরিক হতে পারবো না।
পৃথিবীর শক্তির ফ্রিকোয়েন্সী বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে আমাদের দেহ ও সচেতনতার ফ্রিকোয়েন্সী ও।ক্রমশ আমরা আমাদের উচ্চতর সত্তাকে জাগ্রত করতে পারছি, মানুষের সচেতনতার স্তর উর্ধ থেকে উর্ধমুখী হচ্ছে।
কিন্তু এই উর্ধমুখী উত্তরন থেকে আমাদেরকে পিছনে টেনে রাখে এই আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ। যেহেতু সবকিছুর ফ্রিকোয়েন্সী বাড়ছে, তাই আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগের শক্তি এবং ফ্রিকোয়েন্সী ও বাড়ছে। ফলে এদের ক্ষতিকর প্রভাব ও বাড়ছে।
তাই এসব ফাঁদে আটকে পড়া নেতিবাচক আবেগ নিঃসরন করা জরুরি । কিন্তু কিভাবে?
(পর্ব-২ঃ আগামীকাল)
No comments:
Post a Comment