জাতির জনকের আজ জন্ম দিন।তারঁ প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি যে মাঠ পর্যায়ে ও সাধারণ কর্মীদের মতন বিপদসংকুল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতেন তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি ঃ
তখন লিয়াকত আলীর জমানা।আরমানীটোলায় বিরাট সভায় মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও অন্যরা জ্বালাময়ী বক্তৃতা করলেন।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন শেষ বক্তা। ভাসানী সাহেব বঙ্গবন্ধুকে বললেন "শোভা যাত্রা করতে হবে সেই ভাবে বক্তৃতা করো"
(তার মানে জনগণের মাঝে আবেগ,উত্তেজনা জাগিয়ে তোলার যাদুকরী ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর ছিল সেটি মাওলানা ভাসানী অনেক আগ থেকেই টের পেয়েছিলেন।)
শোভা যাত্রার এক পর্যায়ে পুলিশ রাস্তা আটক করে ফেলে ও লাঠি চার্জ,টিয়ারশেল ছুড়ে।
এরপর বঙ্গবন্ধুর ভাষায় শুনুন
"আমার উপর ও অনেক আঘাত পড়ল।এক সময়ে প্রায় বেহুশ হয়ে একপাশের নর্দমায় পড়ে গেলাম। কয়েকজন আমাকে রিকশায় উঠিয়ে মোগলটুলি নিয়ে আসলো।"
....এক পর্যায়ে "পুলিশ অফিস ঘিরে ফেলল এবং দরজা খুলতে বলছিল।"...." তিন তলায় আমরা, পাশেই একটি দোতলা বাড়ি ছিল। তিন তলা থেকে দোতলায় লাফিয়ে পড়তে হবে।
দুই দালানের ভিতর ফারাকও আছে। নীচে পড়লে শেষ হয়ে যাবো।
তবু্ও লাফ দিয়ে পড়লাম। "
(আহত, অসুস্থ শরীর নিয়ে এরকম দুঃসাহসিক কাজের কথা থ্রিলার উপন্যাসে পড়েছি। কিন্তু এটি বঙ্গবন্ধুর বাস্তব জীবনের কাহিনি।
আমরা অনেকে মনে করি এমনিতেই তিনি এতো বড় নেতা হয়েছেন। এখনকার নেতারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কর্মীদের নিজেদের "দাস" মনে করে ঐরকম মিছিলে পাঠায়।
ঐ অনুগত কর্মীরা এখনো পুলিশের মারধর খায়,জেলে যায়।
কিন্তু কোন নেতাকে কি শুনেছি তিন তলা থেকে লাফ দিয়ে জীবন বাচিয়ে রাজনীতি করতে?
অথচ এই নেতারা ও স্বপ্ন দেখে ক্ষমতার ও উচু নেতৃত্বের)
No comments:
Post a Comment